Donald Trump: ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত বিরোধের মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত আমেরিকা, বললেন ট্রাম্প
হাইলাইটস
- সম্প্রতি ভারত ও চিন সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে
- দুই দেশই সীমান্ত এলাকায় সেনা মোতায়েনের সংখ্যা বাড়িয়েছে
- এবার ভারত-চিন উত্তেজনায় মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিল আমেরিকা
ওয়াশিংটন: ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্তে (India- China) উত্তেজনা বাড়ছে, আর এরমধ্যেই আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়ে বসল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেদেশের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটের মাধ্যমে ওই প্রস্তাব দিয়েছেন যে, প্রয়োজনে আমেরিকা ভারত-চিন বিরোধের মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত। সিকিম ও লাদাখ সীমান্তে হঠাৎই চিন এবং ভারতীয় সেনার মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে যে বেজিং লাদাখের কাছে তাদের বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজ চালাচ্ছে। এমনকী বেশ কিছু চিত্রে এও দেখা গেছে যে, কয়েকটি যুদ্ধবিমানও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বুধবারই টুইট করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Donald Trump) জানান, "আমরা ভারত ও চিন দুই দেশকেই জানিয়েছি যে আমেরিকা তাদের মধ্যেকার ক্রমবর্ধমান সীমান্ত (India China Border) বিরোধের মধ্যস্থতা বা সালিশি করতে প্রস্তুত, ইচ্ছুক এবং সক্ষম। আপনাদের ধন্যবাদ!"
ভারত এবং চিনের মধ্যে প্রায় ৩,৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা রয়েছে। ইদানিং সেই সীমান্ত এলাকাতেই দুই দেশের সেনার মধ্যে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।
তবে শুধু ভারতই নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনার সঙ্গেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে চিনের সেনাবাহিনীর। এরই মধ্যে আবার মার্কিন নৌবাহিনীকে বিতর্কিত দক্ষিণ চিন সাগরে টহল দিতেও দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি করোনা সংক্রমণকে কেন্দ্র করেও উত্তপ্ত বাদানুবাদ হয়েছে চিন ও আমেরিকার।
ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই সেনা সম্মেলন, নেতৃত্বে সেনাপ্রধান
৯ মে, একটি ভারতীয় টহলদারী দলের কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন কর্মীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে চিনা সেনারা। ভারতের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, ভারত-চিন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা করে চিনের সেনাবাহিনী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে তখনই জানানো হয় যে মোটরচালিত নৌকাগুলির সাহায্যে পানগং হ্রদে ঘোরাফেরা করছে তাঁরা।
চিনের সেনাকে যুদ্ধপ্রস্তুতির নির্দেশ চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং-এর
ওদিকে চিনের তরফ থেকে গালওয়ান নদীর কাছেও তাঁবু খাটানোর চেষ্টা করা হয়। এর আগে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভিযোগ ছিল যে, চিনা হেলিকপ্টারগুলি লাদাখের বিতর্কিত অঞ্চলে প্রবেশ করে ঘোরাফেরা করছে। NDTV-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আরকেএস ভাদৌরিয়া বলেন, "(চিনা) হেলিকপ্টারের আনাগোণা লাদাখে ক্রমেই বাড়ছে"। এরপরেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে গালওয়ান অঞ্চলে সেনার সংখ্যা বাড়িয়ে সেখানকার নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়।
ভারতের কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, সীমান্তরেখায় রীতিমতো তৎপর রয়েছে দেশের সেনাবাহিনী। কেন্দ্রের দাবি, ভারত বরাবরই সীমান্তের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। একই সঙ্গে এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।