This Article is From Mar 27, 2020

করোনার দিন‌গুলিতে কেমন আছেন রাজ্যের বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দারা? 

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক বৃদ্ধাশ্রমের মুখপাত্র জানাচ্ছেন, একেকটি ঘরে দু’জন করে বাসিন্দা থাকেন। সকলেই সম্পূর্ণ সুস্থ।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from PTI)

সারা পৃথিবীতে ক্রমেই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা । (প্রতীকী)

Highlights

  • করোনার সংক্রমণ বাড়ছে দেশজুড়ে
  • এই অবস্থাতে রাজ্যের বৃদ্ধাশ্রমগুলিতে বাসিন্দারা রয়েছেন বিশ্রামে
  • তাঁরা ভালই আছেন বলে জানাচ্ছেন বৃদ্ধাশ্রমের মুখপাত্ররা

করোনা ভাইরাস (Coronavirus) সংক্রমণের ফলে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন (Lockdown)। এই পরিস্থিতিতে কেমন রাজ্যের বৃদ্ধাশ্রমগুলির (Old-Age Homes) ছবি? জানা যাচ্ছে, বৃদ্ধাশ্রমের অধিবাসীরা ঘরবন্দি হয়ে থাকলেও তাঁরা নিয়ম মেনেই চলছেন এবং সাবধানতা অবলম্বন করছেন। প্রিয় মানুষদের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না। তবে তা নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই তাঁদের। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যে তাঁরা মানিয়ে নিতে পেরেছেন তা জানাচ্ছেন বৃদ্ধাশ্রম কর্তৃপক্ষ। এক মিশনারি খ্রিস্টান সংগঠন পরিচালিত ‘লিটল সিস্টার অফ দ্য পুওর' বৃদ্ধাশ্রমে বাসিন্দার সংখ্যা ১২০ জন। এখানকার বর্ষীয়ান বাসিন্দারা নিজেদের ঘরবন্দি করে রেখেছেন। মেনে চলছেন সমস্ত নির্দেশাব‌লি।

পঞ্জাবে করোনায় মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত ২৩, ১৫টি গ্রামে আতঙ্ক

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বৃদ্ধাশ্রমের এক মুখপাত্র জানাচ্ছেন, একেকটি ঘরে দু'জন করে বাসিন্দা থাকেন। সকলেই সম্পূর্ণ সুস্থ। বিশেষ কারণে জমায়েত নিষিদ্ধ হলেও এই নিয়ে তাঁদের কোনও অভিযোগ নেই। তাঁরা ভাল করেই জানেন, এই সময় নিয়ম না মানলে তা কতটা বিপজ্জনক হতে পারে।

Advertisement

নিয়মিত প্রত্যেকের ঘরের ভিতরে থাকা পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে ঘোষণা করা হয়। জানিয়ে দেওয়া হয় দৈনন্দিন রুটিন। সেই সঙ্গে প্রত্যেকের ঘরেই বাজানো হয় নরম মিউজিক। উদ্দেশ্য, যাতে মন ফুরফুরে থাকে বাসিন্দাদের। মুখপাত্র জানাচ্ছেন, ‘‘আমরা ওঁদের জন্য খুবই হালকা রান্না করছি ডায়েট চার্ট মিলিয়ে। আমাদের চিকিৎসকরা নিয়মিত ওঁদের পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।''

গরমিল রয়েছে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের পর্যবেক্ষণে, রাজ্যগুলিকে জানাল কেন্দ্র

Advertisement

আরও ২৩৯ জন বর্ষীয়ান নাগরিক থাকেন বরানগর ও টালিগঞ্জে ‘শান্তিনীড়' বৃদ্ধাশ্রমে। বরানগরের বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন ২০০ বাসিন্দা। টালিগঞ্জে থাকেন ৩৯ জন। তাঁরাও সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থাতেই দিন কাটাচ্ছেন। এক মুখপাত্র জানাচ্ছেন, ‘‘আমরা ওঁদের ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছি। কর্মী ও বাসিন্দারা সকলেই প্রয়োজন‌ীয় সাবধানতা অবলম্বন করছেন। নিয়মিত হাত ধুচ্ছেন স্যানিটাইজার দিয়ে।'' তিনি আরও জানাচ্ছেন, ওই বাসিন্দাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে নিয়মিত তাঁদের শারীরিক অবস্থার ব্যাপারে রিপোর্ট করছি।

একই ছবি নিউ টাউনের স্নেহোদিয়া বা অন্য বৃদ্ধাশ্রমগুলিতে। প্রয়োজনীয় নিয়ম মেনে তাঁরা লড়াই করছেন করোনা সংক্রমণ এড়াতে। দেখা হচ্ছে না প্রিয়জনদের সঙ্গে। তবুও মন শক্ত করে এই বয়সেও মজবুত ভাবে লড়াই করছেন সুস্থ, সজীব থাকতে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement