Rahul Gandhi: করোনা পরিস্থিতি সামলাতে প্রধানমন্ত্রী মোদির পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা
হাইলাইটস
- লকডাউনের কোনও সুফল পায়নি ভারত, দাবি রাহুল গান্ধি
- করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ মোদি সরকার, অভিযোগ তাঁর
- লকডাউনের ৪টি ধাপে বাড়তে থাকা ৪টি করোনা গ্রাফ তুলে ধরেছেন রাহুল
নয়া দিল্লি: করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্রীয় সরকার ৪টি পর্যায়ে লকডাউনের পথে হাঁটলেও তাতে লাভের লাভ যে কিছুই হয়নি তাই আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। শনিবার সকালে তিনি (Rahul Gandhi) লকডাউনের প্রতিটি পর্বের সঙ্গে মিলিয়ে করোনা সংক্রমণের চারটি আলাদা আলাদা গ্রাফ শেয়ার করেছেন, যাতে দেখা যাচ্ছে যে দেশে লকডাউনের (Coronavirus Lockdown) মধ্যেও লাগাতার নতুন করে করোনা ভাইরাসে (COVID -19) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ওই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১,০০০ এরও বেশি মানুষ, এই পরিসংখ্যান উঠে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই টুইট করেন রাহুল গান্ধি। দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্তের এই হার এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
দেশে লাগাতার বাড়ছে সংক্রমণ, ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত
গ্রাফগুলিতে, বেসলাইন ফিগারটি ০ থেকে ৭,৫০০ পর্যন্ত উঠে সেখান থেকেই সমান্তরালভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ওই পোস্টটির সঙ্গে ইন্টারনেটে প্রচলিত অন্যতম জনপ্রিয় একটি উদ্ধৃতি জুড়ে দেওয়া হয়েছে: পাগলামি করে বার বার একই কাজ করা হচ্ছে এবং ভিন্ন ফলের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার যে করোনা ভাইরাস মহামারীর সময় দেশকে সঠিক দিশা দেখাতে ব্যর্থ, সেই কথাই বলতে চেয়েছেন রাহুল গান্ধি। এই লকডাউনের ফলে অর্থনীতিতে এর সাংঘাতিক প্রভাব পড়েছে, একথাও বলছেন সনিয়া পুত্র। এদিকে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করে দেওয়ার পর দেখা যাচ্ছে করোনা সংক্রমণ আরও দ্রুতহারে বাড়ছে।
ভার্চুয়াল জগত থেকে বাস্তবের পৃথিবীতে নেমে আসুন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে আহ্বান অধীর চৌধুরীর
এক সপ্তাহ আগেও, রাহুল গান্ধি অন্যান্য দেশের তুলনায় কীভাবে "ভারতে লকডাউন ব্যর্থ হয়েছে" সেই তথ্য দেখানোর জন্য আরও একটি গ্রাফ শেয়ার করেছিলেন, যেখানে দেখা গেছে যে অন্যান্য দেশে বিধিনিষেধ আরোপের পরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেশ কমে গেছে। অথচ ভারতে তা হয়নি।
রাহুল গান্ধি শিল্পপতি রাজীব বাজাজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারের সময় এই টুইটটি করেন। ওই শিল্পপতিও মনে করেন ভারতে লকডাউন আরোপে ভালোর চেয়ে খারাপই হয়েছে বেশি।
কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা এই লকডাউনে লক্ষ লক্ষ দরিদ্র ও পরিযায়ী শ্রমিককে আয়ের সংস্থান, খাদ্য বা আশ্রয় হারিয়েছেন।
ফেব্রুয়ারির গোড়ার দিকে, যখন ভারতে প্রথম করোন ভাইরাসের এক রোগী ধরা পড়েছিল সেই সময়ের প্রায় দুই সপ্তাহ পরে এদেশে এসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সময় তাঁকে স্বাগত জানাতেই ব্যস্ত ছিল মোদি সরকার, এই অভিযোগও করেন ওই কংগ্রেস সাংসদ।
এদিকে গত বৃহস্পতিবারই সংক্রমণের বিচারে ব্রিটেনকেও ছাড়িয়ে যায় ভারত। আমেরিকা, ব্রাজিল এবং রাশিয়ার পরে করোনা ভাইরাসের রোগীর সংখ্যা অনুযায়ী ভারত এখন বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।