Read in English
This Article is From Jul 01, 2019

“ইনসানিয়াৎ,জামুরিয়াৎ,কাশ্মীরিয়াৎ”: জম্মু ও কাশ্মীরের বিল প্রসঙ্গে বললেন অমিত শাহ

“আমি একমত যে আমাদের কাশ্মীরিয়াৎকে রক্ষা করতে হবে, কিন্তু আমার প্রশ্ন ... সুফিবাদ একসময় কাশ্মীরের অন্তরে ছিল, কিন্তু এটাই আর নেই ":স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Advertisement
অল ইন্ডিয়া ,
নয়া দিল্লি:

জম্মু ও কাশ্মীরে( Jammu and Kashmir) রাষ্ট্রপতি শাসনের( President's Rule) মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে বিতর্কে অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে বলেন,প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জম্মু কাশ্মীর সংক্রান্ত ৩টি নীতি “ইনসানিয়াৎ, জামুরিয়াৎ এবং কাশ্মীরিয়াৎ” (Insaniyat, Jamhooriyat, Kashmiriyat)রক্ষা করা নিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার(Central Govt)।কিন্তু এর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অমিত শাহ প্রশ্ন করেন “কাশ্মীরিয়াৎ” বলতে কি বোঝায়? “আমি একমত যে আমাদের কাশ্মীরিয়াৎকে রক্ষা করতে হবে। কিন্তু আমার একটি প্রশ্ন আছে যা আমি আপনাদের এবং জনগণের সামনে রাখতে চাই", বলেন অমিত শাহ (Amit Shah)।“কাশ্মিরী পণ্ডিতদের(Kashmiri Pandits) রাজ্য ছাড়া করা হয়েছিল।তাঁরা কি কাশ্মীরিয়াতের অংশ ছিলেন না? যখন সুফিদের উপর হামলা হয়েছিল, সুফি সন্ত্রাসীদের হত্যা করা হয়েছিল, যারা হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের কথা বলতেন, তাঁদেরও কাশ্মীর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। সুফি ঐতিহ্য কি কাশ্মীরিয়াতের অংশ নয়?” এ প্রশ্নও যোগ করেন অমিত শাহ(Amit Shah)।

জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ বৃদ্ধিতে রাজ্যসভায় বিল পেশ

“হিন্দু-মুসলিম ঐক্য নিয়ে যে সুফিরা(Sufis)কথা বলেছেন তাঁদের বিষয়ে যদি কেউ প্রতিবাদ করত, তবে আমি মানতে রাজি হতাম যে জনগণ কাশ্মীরের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন।কাশ্মিরী পণ্ডিতরা(Kashmiri Pandits) , যারা দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মিরী সংস্কৃতির বাহক ছিলেন, তাদেরকে বহিষ্কৃত ও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। আজ যদি আমরা কাশ্মীরিয়াত নিয়ে কথা বলি, তাহলে আমাদেরও তাঁদের নিয়েও ভাবতে হবে”, বলেন তিনি।

Advertisement

"ইনসানিয়াৎ" অর্থাৎ মানবিকতা শব্দটিতে সরকারের(Central Govt) উন্নয়নমূলক নীতি অন্তর্নিহিত রয়েছে। এতে শিশুদের জন্য স্কুল, মহিলাদের জন্য শৌচাগার, বিদ্যুৎ, কল্যাণমূলক প্রকল্প এবং খাদ্যের কথাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলেও দাবি করেন অমিত শাহ।

‘ব্যাট পেটানো' কাণ্ডে ছেলে আকাশকে ‘কাঁচা খেলোয়াড়' বললেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়

Advertisement

“জামুরিয়াৎ”, বা গণতন্ত্র, এই বিলের দ্বার যা প্রতিষ্ঠার আশা করছে সরকার, বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী(Home Minister)।নির্বাচন কমিশন জানিয়েছেন যে চলতি বছরের শেষের দিকে বিধানসভা নির্বাচন করা সম্ভব হতে পারে।ফলে তার আগে পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতির শাসনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই সরকারের হাতে, এমনটাও যুক্তি দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

২০১৮ তে মেহবুবা মুফতির দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির সঙ্গে বিজেপির জোট ভেঙে যাওয়ার পরেই জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়।জানা গেছে, চলতি বছরের শেষের দিকেই সেখানকার বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।কিন্তু তার আগে সেখানে রাষ্ট্রপতির শাসনের মেয়াদ আরও ৬ মাস বৃদ্ধি করার পথেই হাঁটল কেন্দ্রীয় সরকার(Central Govt)।

Advertisement