This Article is From Jun 24, 2019

কলকাতার বুদ্ধিজীবীরা ভীতু আর সুবিধাবাদী: তোপ দিলীপ ঘোষের

রবিবার জন সংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ৬৬ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে কলকাতার বুদ্ধিজীবীদের ‘ভীতু এবং সুযোগসন্ধানী’ বললেন দিলীপ ঘোষ।

কলকাতার বুদ্ধিজীবীরা ভীতু আর সুবিধাবাদী: তোপ দিলীপ ঘোষের

মঞ্চে ভাষণরত রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ

কলকাতা:

রবিবার জন সংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের (Shyamapradsad Mukherjee) ৬৬ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে কলকাতার বুদ্ধিজীবী (Intellectuals) মহলকে ভীতু (cowards) এবং সুযোগসন্ধানী (opportunists) বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিজেপি সভাপতি  দিলীপ ঘোষ। তাঁর ক্ষোভ, একদিকে যখন রাজ্য জ্বলছে, বিজেপি সমর্থকেরা মার খাচ্ছেন, খুন হচ্ছেন শাসকদলের গুণ্ডাবাহিনির হাতে তখনও মুখে কুলুপ বুদ্ধিজীবী মহলের। কারণ, তাঁদের ভয় মুখ খুললেই শাসকদলের ব্যাড বুকে নাম উঠবে তাঁদের। ভবিষ্যতে যাবতীয় সুযোগ-সুবিধে থেকে বঞ্চিত থাকবেন তাঁরা।

শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যুদিনে বিজেপির আক্রমণ কংগ্রেস ও জওহরলাল নেহরুকে

বিজেপি রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ মেদিনীপুর পৌরসভার নবনির্বাচিত বিধায়ক এবং স্থানীয় মানুষ। একই সঙ্গে কলকাতার মেয়র এবং শাসকদলের প্রথম সারির নেতা ফিরহাদ হাকিমের দাবি, এমন উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে দিলীপ ঘোষকে। 

তাঁর এহেন মন্তব্যের প্রত্যুত্তরে ফিরহাদ বলেন, ‘এর থেকেই বোঝা গেল, বাংলার বুদ্ধিজীবী মহল ও সংস্কৃতির প্রতি কী ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে বিজেপি। বাংলার কৃষ্টি, ইতিহাস, শিল্পের প্রতি কোনও সম্মান নেই বলেই এভাবে বুদ্ধিজীবিদের হেনস্থা করতে পারলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।

বিজেপি যেন ‘জঙ্গি সংগঠন, গুন্ডা ভাড়া করে এনেছে রাজ্যে': তৃণমূল

বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন জনপ্রিয় কবি এবং শাসকদলের ঘনিষ্ঠ সুবোধ সরকারও। তাঁর কথায়, এই মন্তব্যে দিলীপ ঘোষের নীচ মানসিকতারই প্রতিফলন ঘটেছে।

কয়েক বছর আগে এভাবেই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সমালোচনা করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। কলকাতার বুদ্ধিজীবী মহলের তাই দাবি, এভাবেই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বারবারে তাঁদের অপমান করছে বিজেপির (Bengal BJP) একাংশ। স্তব্ধ করতে চাইছে তাঁদের কণ্ঠস্বর।

.