BAT-এর পাঁচ অনুপ্রবেশকারী শনিবার সীমান্তরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকলে তাদের গুলি চালিয়ে খতম করে ভারতীয় সেনা।
নয়াদিল্লি/ শ্রীনগর: গত ২৯ থেকে ৩১ জুলাই সীমান্তরেখা (Line Of Control) পেরিয়ে ভারতে (India) অনুপ্রবেশের বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা করেছিল পাক (Pakistan) জঙ্গিরা। NDTV-কে তেমনটাই জানিয়েছে সূত্র। জম্মু ও কাশ্মীরে (J&K) নিরাপত্তা আরও কড়া করা হয়েছে গত দু'দিনে। এরই মধ্যে পাঁচ পাক অনুপ্রবেশকারী খতম হয়েছে ভারতীয় সেনার গুলিতে। এই পরিস্থিতিতে জানা গেল এই খবর। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি জানিয়েছে, জঙ্গিরা গত ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামায় হওয়া জঙ্গি হামলার মতোই খুব বড় কোনও জঙ্গি হামলার ছক কষেছে। জানা গিয়েছে, একটি প্রচেষ্টা সফলও হয়েছে। চার থেকে পাঁচ জঙ্গির একটি দল ভারতে প্রবেশ করেছে। গোয়েন্দা বাহিনী জানাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে অমরনাথ যাত্রা বন্ধ না করাটা চূড়ান্ত ঝুঁকিবহুল হয়ে যেত।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামায় আধা সামরিক বাহিনীর একটি কনভয়ে হামলা চালায় আত্মঘাতী জঙ্গি। ওই হানায় ৪০ জন জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন।
কেরানে নিহত পাঁচ পাক অনুপ্রবেশকারীর দেহ পাকিস্তানকে নিতে বলল ভারতীয় সেনা
শনিবার ভারতীয় সেনা জানিয়েছিল, পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিম (BAT)-এর পাঁচজন ভারতে প্রবেশ করে কেরান সেক্টরের একটি ফরোয়ার্ড পোস্টে হামলার ছক কষেছিল।
সূত্রানুসারে, অন্তত ২০ জন পাক জঙ্গির দল ভারতীয় সেনার উপরে বড় হামলার ছক কষছিল। BAT-এর পাঁচ অনুপ্রবেশকারী শনিবার সীমান্তরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকে একটি ভারতীয় ঘাঁটির খুব কাছে পৌঁছেও যায়। কিন্তু হামলা চালানোর আগেই ভারতীয় সেনা গুলি চালিয়ে খতম করে তাদের।
কেরান সেক্টর দিয়ে পাক অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে প্রবেশের চেষ্টা রুখল সেনা, নিহত পাঁচ
দেহ ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাকিস্তানকে জানাল ভারত। তারা এখনও কোনও সাড়া দেয়নি। সূত্রানুসারে কেরান সেক্টরে সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রচুর গোলাগুলি চলেছে।
গত এক সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরকে নিরাপত্তা বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলার চেষ্টা চলছে। ৩৫,০০০ আধা সেনা আনা হয়েছে রাজ্যে। অমরনাথের তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের দ্রুত রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার আচমকাই এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই সতর্কতা এবং জম্মু ও কাশ্মীরে আধা সামরিক সেনার সংখ্যা বাড়ানোয় নানা রকমের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যে।
এমন ঘোষণার পরে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দোকানবাজার, ওষুধের দোকান এবং এটিএমের বাইরে বহু মানুষের ভিড় চোখে পড়ে। আতঙ্কিত পর্যটক ও তীর্থযাত্রীরা, যাঁদের মধ্যে বহু বিদেশিও রয়েছেন, তাঁরা শনিবার শ্রীনগর বিমানবন্দরে ভিড় জমিয়েছেন। তাঁদের অনেকেরই কাছে বিমানের টিকিট নেই।