সেই মার্চ থেকে বন্ধ আন্তর্জাতিক বিমান ওঠানামা। (ফাইল)
নয়াদিল্লি: ১৫ জুলাই পর্যন্ত দেশে আন্তর্জাতিক যাত্রী বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখল কেন্দ্র। শুক্রবার জানাল ডিজিসিএ (DGCA)। তবে কার্গো বিমান ওঠানামার ক্ষেত্রে এই বিধি কার্যকরী নয়। এমনটাও জানিয়েছে সরকার নিয়ন্ত্রিত ওই সংস্থা। সংক্রমণ পরিস্থিতি (Covid-19) বিচার করে মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে দেশে যাত্রী বিমান ওঠানামা বন্ধ ছিল। ২৫ থেকে ঘরোয়া ওঠানামার ওপর নিয়ন্ত্রণ উঠলেও, আরও কয়েকদিন বন্ধ থাকবে আন্তর্জাতিক বিমান (Commercial International Flight)। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক সূত্রে এমনটাই খবর। ডিজিসিএ'র তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ১৫ জুলাই রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত সব আন্তর্জাতিক যাত্রী বিমান ওঠানামা বন্ধ থাকবে। শুধু বিশেষ সুপারিশ মেনে বাছাই করা কয়েকটি রুটে এই বিমান চলবে।
গত সপ্তাহে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ পুরী জানিয়েছিলেন, জুলাই মাসে সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। তারপরেই আন্তর্জাতিক যাত্রী বিমানের ওঠানামা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে বিমান বাস্তুতন্ত্র ও রাজ্য সরকারগুলির অনুমোদন নেওয়া হবে।
এদিকে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেশে যে হারে বাড়ছে তাতে ট্রেনের স্বাভাবিক পরিষেবা আবার কবে চালু হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন খোদ রেলকর্তারাই। লকডাউনের আগে, প্রতিদিন প্রায় ১২,০০০ ট্রেন চালাত রেল এবং তাতে যাতায়াত করতেন দৈনিক প্রায় ২ কোটি মানুষ। ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের যাতায়াতের জন্যে শহরতলিতে সীমিত সংখ্যক বিশেষ ট্রেন চালানো শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে যদিও সেই বিশেষ ট্রেন পরিষেবাও অব্যাহত থাকবে।
যে বিশেষ ট্রেনগুলো এই অবস্থাতেও চলাচল করছে তাতে সফর করতে হলে যাত্রীদের কড়া নির্দেশিকা মানতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা নিয়ম অনুসারে, সমস্ত যাত্রীদের ট্রেনে ওঠার আগে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের মুখোমুখি হতে হবে এবং কেবল যেসব যাত্রীদের শরীরে করোনা সংক্রান্ত কোনওরকম লক্ষণ নেই তাঁরাই ট্রেনে উঠতে পারবেন।
ট্রেনে ওঠার পর সমস্ত যাত্রীকে নিজেদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং গোটা সফরে মাস্ক পরা আবশ্যিক। পাশাপাশি সমস্ত যাত্রীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভারতে ক্রমেই যেন আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে কোভিড- ১৯। বুধবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ১৬,০০০ এরও বেশি মানুষ নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, ফলে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ৪.৭৩ লক্ষ মানুষে। ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ১৪,৮৯৪ জনের।
এই রোগ মহামারী আকারে যে যে দেশে দেখা দিয়েছে সেই তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল এবং রাশিয়ার পরেই বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসাবে জায়গা পেয়েছে ভারত।
(সংবাদসংস্থা থেকে গৃহীত)