This Article is From Sep 08, 2018

দেশে 280 মিলিয়ন মানুষ নিরক্ষর ! আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে কী বার্তা দিলেন নেতারা?

ইউনেস্কোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতের সাক্ষরতার হার 72.1 শতাংশ। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার 80.9 শতাংশ, মহিলাদের জন্য 62.8 শতাংশ।

দেশে 280 মিলিয়ন মানুষ নিরক্ষর ! আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে কী বার্তা দিলেন নেতারা?

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস (International Literacy Day) উদযাপিত হয় আজ 8 সেপ্টেম্বর

নিউ দিল্লি:

আজ বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস। 8 সেপ্টেম্বর সারা বিশ্বে পালিত হয় আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস (International Literacy Day) পালিত হয়। ইউনেস্কো (UNSECO) কর্তৃক 26 অক্টোবর, 1966 সালে এই দিনটিকে বিশেষভাবে ঘোষণা করা হয় সাক্ষরতার জন্য। ব্যক্তি, সম্প্রদায় ও সমাজের জন্য লেখাপড়ার গুরুত্ব ও ক্ষমতার বিষয়টি বোঝাতে সাক্ষরতার গুরুত্ব তুলে ধরার জন্যই আজকের দিনটি পালন করা হয়। ইউনেস্কোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতের সাক্ষরতার হার 72.1 শতাংশ। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার 80.9 শতাংশ, মহিলাদের জন্য 62.8 শতাংশ। কার্যকরী সাক্ষরতা ভারতের ক্ষেত্রে এই কারণেই আরও গুরুত্বপূর্ণ কারণ ভারতে এখনও 280 মিলিয়নেরও বেশি সংখ্যক প্রাপ্তবয়স্ক নিরক্ষর। যেকারণে বয়স্ক শিক্ষা ভারতের ক্ষেত্রে এতখানি গুরুত্বপূর্ণ। সরকার এবং নানান অলাভজনক প্রতিষ্ঠান শিক্ষার হারের এই ঘাটতি পূরণের নানা চেষ্টাই করে চলেছে। 2022 সালের মধ্যে সাক্ষরতার হার শতকরা 100 ভাগ করার লক্ষে কাজ করছে সরকারি বেসরকারি নানা উদ্যোগ।

দেশে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা, অগ্রগতির বিষয়ে আজকের এই বিশেষ দিনে নিজস্ব মতামত ও বার্তা জানিয়েছেন দেশের বহু নেতাই।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল লিখেছেন যে, আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আমাদেরকে আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেয়। কোনও শিশু যাতে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয় তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আমাদেরকে আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেয়। কোনও শিশু যাতে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয় তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। ভারতকে উন্নত দেশ হিসেবে গরে তুলতে গেলে সবার জন্য শিক্ষা বিষয়টিতে জোর দিতে হবে। আমাদের সংকল্পকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে।" কেজরিওয়াল আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে টুইট করেছেন।

বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট বলেন যে, শিক্ষা হল ভবিষ্যতের বিনিয়োগ। "শুভ #আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস! সাক্ষরতা ও শিক্ষার জীবনের পথ পরিবর্তন করে। আসুন যারা শিক্ষা থেকে এখনও পিছিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়াই। শিক্ষা হল সম্পদ এবং স্কুল ও শিক্ষকেরা হল ভবিষ্যতের বিনিয়োগ।” টুইটে লিখেছেন গেহলট।

ভারতের উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু প্রবীণদের মধ্যে সাক্ষরতার উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছেন। "সাক্ষরতা ও শিক্ষা হল এক শক্তিশালী, প্রগতিশীল, সমন্বিত ভারতের ভিত্তি। শুধু শিশুদের জন্য নয়, বয়স্কদের শিক্ষাও খুবই প্রয়োজনীয়। বিশেষ করে মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার হার বৃদ্ধি করতেই হবে।" আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে টুইটারে লিখেছেন নাইডু।

ওড়িষার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি শিক্ষা ও দক্ষতার বিকাশের জন্য একটি সমন্বিত পদ্ধতি গ্রহণ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে, শিক্ষা ও দক্ষতার বিকাশের জন্য  একটি সমন্বিত পদ্ধতির গ্রহণ করার জন্য আমার প্রতিশ্রুতির পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছি। শিক্ষা কেবল মানুষের জীবনকেই উন্নত করে না বরং দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন ও বিশ্বসাম্যের পথও প্রশস্ত করে।" আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে টুইট করেছেন নবীন পট্টনায়ক।

বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয় লিখেছেন যে অশিক্ষা নির্মূল করার জন্য প্রত্যেকেই চেষ্টা করে যেতে হবে। শিক্ষালাভ আমাদের মৌলিক অধিকার। আজ এই বিশেষ দিনে আমি সবাইকে বলতে চাই নিরক্ষরতা বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, মানুষকে তাঁদের অজ্ঞতার ক্ষতিকারক দিকটি বোঝান।" গায়ক ও রাজনীতিবিদ বাবুল লিখেছেন টুইটে।

প্রতিবছরই বিভিন্ন থিম থাকে এই দিনটির জন্য, যেমন, “সকলের জন্য শিক্ষা”, "শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য"। এই বছরের থিম হল, "সাক্ষরতা এবং দক্ষতা উন্নয়ন"। UNSECO-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারা বিশ্বে এখনও 750 মিলিয়ন লোক লিখতে বা পড়তে পারেন না।

.