International Men's Day 2019: প্রতি বছর আজকের দিনে পালিত হয় পুরুষ দিবস
নয়া দিল্লি: একুশ শতকেও বছরের ৩৬৪ দিন পুরুষের। একটি দিন নারী 'দি' বস (International Women's Day)। তাই নিন্দুকদের দাবি, এইদিন যতটা ধুমধাম চোখে পড়ে বিশ্ব পুরুষ দিবস (International Men's Day) নাকি ততটাই জৌলুষহীন। এই নিয়ে নারীবাদীদের দাবি, এখনও ৩৬৫ দিন সমাজ থেকে ঘরে যাঁরাই শাসনের ছড়ি ঘোরায় তাঁদের জন্য আলাদা করে দিবস পালন খুব প্রয়োজন? তবু সমাজতাত্ত্বিকদের মতে, প্রতিবছর ১৯ নভেম্বর রাখা রয়েছে সেই সব পুরুষদের জন্য যাঁরা ঘরে-বাইরে আক্ষরিক অর্থে নিপীড়িত, নির্যাতীত। প্রসঙ্গত, ইউনেস্কোর সমর্থনে বিশ্বের ৮০টি দেশ এই বিশেষ দিন পালন করে আসছে বহু বছর ধরে। এবছরের থিম 'পুরুষ ও নাবালকের ফারাক'।
২২টি গেমসহ মঙ্গলবার লঞ্চ হবে গুগল স্টাডিয়া
কীভাবে দিনটি এল
আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসের সূচনা ১৯৯২-এর ৭ ফেব্রুয়ারি টমাস অস্টারের দিয়ে। পরিকল্পনা হয়েছিল তারও একবছর আগে, অর্থাৎ ১৯৯১-এর ৪ ফেব্রুয়ারি। ১৯৯৯-এ ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে এই বিশেষ দিন উদযাপন পুনরায় শুরু হয়।
পুরুষ দিবসের ইতিকথা
কথিত আছে, ১৯২৩ সালে, অগণিত পুরুষ ৪ মার্চ আন্তর্জাতিক মহিলা দিবসের মতো আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস পালনের দাবি তুলেছিলেন। সেই সময়, পুরুষরা ২৩ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস পালনের জন্য নির্দিষ্ট করেছিল। ১৯৬৮-তে আমেরিকান সাংবাদিক জন পি হ্যারিস একটি নিবন্ধে লেখেন, সোভিয়েত-রাশিয়ায় লিঙ্গবৈষম্য মারাত্মক। সেখানে নারী দিবস পালিত হলেও পুরুষ দিবসের কোনও অস্তিত্ত্ব নেই। এরপরেই হ্যারিস পুরুষ দিবস পালনের দাবি জানান। অবশেষে ১৯৯৯ সালের ১৯ নভেম্বর ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে প্রথম আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস উদযাপিত হয়েছিল। ডঃ জেরোম তিলক সিং পুরুষদের অবদানের স্বীকৃতির দানের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাঁ তাঁর বাবার জন্মদিনে প্রথম বিশ্ব পুরুষ দিবস উদযাপিত হয়। ধীরে ধীরে এভাবেই ১৯ নভেম্বর হয়ে ওঠে পুরুষদের মুখ। ২০০৭ সালে ভারতে প্রথম পালিত হয় আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস।
প্রিয়দর্শিনীর কোন ৩ সিদ্ধান্ত বদলেছিল ভারতকে?
কেন পালন করবেন
সমীক্ষা বলছে, নারীদের থেকে তিন গুণ বেশি আত্মহত্যা করেন পুরুষেরা। প্রতি তিনজন পুরুষের একজন গার্হস্থ্য হিংসার শিকার। নারীদের থেকে সাধারণত ৪-৫ বছর আগে মৃত্যু হয় পুরুষদের। এবং মহিলাদের থেকে পুরুষদের হৃদরোগে আক্রান্তও হন বেশি। শাসনের পাশাপাশি পুরুষদেরও যে সোহাগের প্রয়োজন--- সেই বার্তা দিতেই এই বিশেষ দিন উদযাপন। এর মাধ্যমে---
---পুরুষকে রোল মডেল প্রচার করা
--- সমাজ-সম্প্রদায়-পরিবারে পুরুষদের ইতিবাচক দিক তুলে ধরা
---পুরুষদের শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার দিকে খেয়াল রাখা
---পুরুষদের প্রতি বৈষম্য তুলে ধরার জন্য
---পুরুষদের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখা
ছেলে সমকামী, ‘Honour Killing'-এর হুমকি দিল পরিবার
কীভাবে পালন হয় দিনটি?
দিনটি বিদেশে ভীষণ জাঁজমকের সঙ্গে পালিত হয়। পার্টি দেওয়া হয় পুরুষদের জন্য। বেড়াতে পাঠআনো হয় তাঁদের। আমাদের দেশ এখনও এব্যাপারে ততটাও ওয়াকিবহাল নয়। তবে ধীরে ধীরে এখানেও ছায়া ফেলছে পাশ্চাত্যের সংস্কৃতি। পরিবারের পুরুষদ সদস্যের জন্য কার্ড, উপহার, কিনে, ভালোমন্দ রান্না করে খাইয়ে বা রেস্তোরাঁয় করে দিনটি উদযাপন করতেই পারেন। তবে দিনটি সেদিনই সার্থক হবে, যেদিন বিশ্ব থেকে মুছে যাবে নারী-পুরুষ ভেদাভেদ।