INX Media Case: বৃহস্পতিবার দিল্লির তিহার জেলে পাঠানো হয় পি চিদাম্বরমকে।
নয়া দিল্লি: দিল্লির তিহার জেলে ঠাঁই হওয়া পি চিদাম্বরমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হল না কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলকে। বৃহস্পতিবারই আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় (INX Media Case) তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় দিল্লির একটি আদালত। এরপরেই প্রবীণ ওই কংগ্রেস নেতাকে (P Chidambaram) তিহার জেলে পাঠানো হয়। মুকুল ওয়াসনিক, পিসি চকো, মানিকক্কাম ঠাকুর, অবিনাশ পান্ডে সহ কংগ্রেস নেতাদের প্রতিনিধি দল সেখানে গিয়ে চিদাম্বরমের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে বলা হয় যে পি চিদাম্বরমের সঙ্গে দেখা করার বরাদ্দ সময় শেষ হয়ে গেছে। এরপরেই তাঁরা জেল সুপারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। পি চিদাম্বরম তিহার জেলের (Tihar Jail) সাত নম্বর ওয়ার্ডে বন্দী রয়েছেন, তিহার জেলের নয় নম্বর ওয়ার্ড যা এশিয়ার বৃহত্তম কারাগার কমপ্লেক্স। যেহেতু তাঁর জেড-লেভেল সুরক্ষা রয়েছে, তাই সিবিআই আদালত তাঁর আইনজীবী কপিল সিব্বালের অনুরোধ মতো বিশেষ সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে অনুরোধে সম্মতি জানায়। এর ফলে একটি পৃথক সেল বরাদ্দ হয়েছে তাঁর জন্যে, সেখানে আছে একটি খাট , একটি বিশেষ সুবিধাযুক্ত শৌচাগার, বিশেষ সুরক্ষা এবং ওষুধ।
তিহার জেলে যেতে হবে পি চিদাম্বরমকে, বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের
অন্যান্য বন্দীদের মতো পি চিদাম্বরমেরও কারাগারের লাইব্রেরিতে প্রবেশাধিকার থাকবে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য টেলিভিশনও দেখতে পারবেন তিনি।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে পি চিদাম্বরমকে রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্ট থেকে তিহার জেলে আনা হয়েছিল। তাঁকে আদালত থেকে কারাগারে আনতে প্রায় ৩৫ মিনিট সময় লাগে জেল কর্তৃপক্ষের। পি চিদাম্বরমকে ভ্যানে একা বসে বাইরের দৃশ্য দেখতে দেখা যায়, মুখে স্মিত হাসি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে হাত নাড়তেও দেখা যায় তাঁকে।
পি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে, ২০১৭ সালে অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিজের পদের অপব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছে সিবিআই, সেই সময় কার্তি চিদাম্বরমের অনুরোধে আইএনএক্স মিডিয়াকে বিদেশ লগ্নি পেতে সাহায্য করেন তিনি।
তিহার জেলে যাওয়ার আগে বিশেষ অনুরোধ পি চিদাম্বরমের
আইএএনএক্স মিডিয়ার সহ প্রতিষ্ঠাতা পিটার মুখোপাধ্যায় এবং ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের থেকে পি চিদাম্বরম এবং তাঁর ছেলে কার্তি চিদাম্বরমের নাম পাওয়া যায়। শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে মুম্বইয়ের জেলে রয়েছে পিটার ও ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়।
ওদিকে তাঁর ছেলে কার্তি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে, বিদেশি লগ্নি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে, ২০১৮-এ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়, এবং ২৩ দিন পর ছাড়া পান তিনি।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট একই মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগ দায়ের করেছে।