This Article is From Oct 30, 2019

তদন্তকারীসংস্থার আর্জি খারিজ, ফের তিহার জেলেই পি চিদাম্বরম

তদন্তকারীসংস্থার আর্জি খারিজ, ফের তিহার জেলেই পি চিদাম্বরম

তিহার জেলে আলাদা ঘর, পশ্চিমি শৌচালয় এবং বাড়ির খাবার পাবেন পি চিদাম্বরম

নয়াদিল্লি:

আইএনএক্স মিডিয়া কেলেঙ্কারিতে (INX Media case) ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত পি চিদাম্বরমকে (P Chidambaram) তিহার জেলের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। আগের মাসে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতে যাওয়ায় তিহার জেল থেকে বাইরে আনা হয় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে। বিচারক জানান, তিহার জেলে, আলাদা ঘর, পশ্চিমি সুবিধাযু্ক্ত শৌচাগার, বাড়ির খাবার এবং ওষুধ পাবেন এই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। পি চিদাম্বরমের ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে বুধবারই। ৭৪ বছরের রাজনীতিবিদের অন্তর্বর্তীকালীন জামি‌নের শুনানি বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে। সোমবার তাঁকে এইমসে ভর্তি করা হয়। এবং হায়দরাবাদে নিয়ে গিয়ে পেটের অসুস্থতার চিকিৎসার জন্য জামিনের আবেদন করা হয়।

তাঁর মূল জামিনের আবেদনের শুনানি আগামী ৪ নভেম্বর।

বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতাকে একদিনের হেফাজতে রাখার ইডির আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আদালত। চিদাম্বরমের আইনজীবী কপিল সিবাল জানান, ওই সংস্থা কোনও সাক্ষীকেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে ন‌া। অথচ বেশিদিন হেফাজতে রাখার সেটাই কারণ বলে জানানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘রোজই এক গল্প। ইডি আদালতকে জানিয়েছে তারা সাক্ষীদের জেরা করতে চায়। কিন্তু একদিনও কোনও জেরা হয়নি।''

পেটের যন্ত্রণা, এআইআইএমএসে ভর্তি করা হল পি চিদাম্বরমকে

গত ২১ আগস্ট সিবিআই গ্রেফতার করে পি চিদাম্বরমকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৭ সালে বিদেশ থেকে ৩০৫ কোটি টাকার তহবিল পাওয়ার জন্য আইএনএক্স মিডিয়াকে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন তিনি, বিনিময়ে তাঁর ছেলে কার্তি চিদাম্বরমের সংস্থাকে বিরাট অঙ্কের ঘুষ দেয় আইএনএক্স মিডিয়া।

এরপর গত ১৬ অক্টোবর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। তিহার জেল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট চিদাম্বরমকে জামিন দেয়। জানিয়ে দেয়, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দেশ ছেড়ে পালানোর কোনও সম্ভাবনা নেই। কোনও সাক্ষীকে প্রভাবিত করতে পারেন, তেমন কোনও প্রমাণও পাওয়া যায়নি। আদালত তাঁকে ১ লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন দিয়েছিল।

সিবিআইয়ের চার্জশিটে, পি চিদাম্বরম, কার্তি চিদাম্বরমসহ একাধিক পদস্থ আমলা এবং বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে সরকারের ক্ষতির কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। পি চিদাম্বরম ৯.৯৬ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

.