১০৫ দিন জেলে থাকার পর জামিন পেলেন পি চিদাম্বরম
নয়াদিল্লি:
আইএনএক্স মিডিয়া আর্থিক তছরূপের মামলায় গ্রেফতারের পর, পি চিদাম্বরমকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট, ফলে গ্রেফতারের তিনমাস পর মুক্তি পেলেন তিনি। জেলে ১০৫ দিন কাটিয়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী, বেশীরভাগ সময়টাই তিহার জেলে। অনুমতি ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন না এবং প্রয়োজনমতো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দিতে হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, তাঁকে ২ লক্ষ টাকার বন্ডও জমা দিতে বলা হয়েছে। মামলা নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না কংগ্রেস নেতা, এছাড়াও কোনও সাক্ষাৎকারও দিতে পারবেন না। পি চিদাম্বরম বুধবার সকাল ১১টায় সংসদে উপস্থিত হবেন বলে জানিয়েছেন তাঁ ছেলে কার্তি চিদাম্বরম।
এখানে রইল ১০'টি তথ্য:
আদালতের অনুমতি ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন না পি চিদাম্বরম, এবং প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দিতে হবে। মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে বিবৃতি দিতে পারবেন না এবং সাক্ষাৎকারও দিতে পারবেন না তিনি।
দিল্লি হাইকোর্টের জামিন খারিজকে চ্যালেঞ্জ করেন পি চিদাম্বরম। মঙ্গলবার, মামলার গুরুত্বের ওপর হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট, এবং উল্লেখ করে, “তিনটি পরীক্ষা”র ফল ছিল এই রাজনৈতিক নেতার পক্ষে, সেগুলি হল তিনি পালাবেন না, তথ্য প্রমাণ নষ্ট করবেন না এবং তিনি তদন্তকারীদের সহযোগিতা করেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, আর্থিক অপরাধ স্বাভাবিকভাবেই গভীর, এবং “জামিন মঞ্জুর করাই রীতি, খারিজ করা ব্যতিক্রম”।
শীর্ষ আদালত জানায়, পি চিদাম্বরম “অথবা কেউ তাঁর জায়গায় একজন সাক্ষীকেও বাধা দিয়েছেন, বা হমকি দিয়েছেন” এর পক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই।
আদালত বলে, একটি শিল করা খামে রাখা তথ্যপ্রমাণের ওপর ভিত্তি করে রায় দেওয়া নায্য নয়, যেমনটা করেছিল হাইকোর্ট। আদালত বলে, “বিচারবিভাগীয় সন্তুষ্টির জন্য যখন বিচারপতিদের একটি শিল করা খামের তথ্য প্রমাণের ওপর নির্ভর করতে হয়, তখন, শিল করা খামের তথ্য রেকর্ডে রাখা উচিত ছিল না বিচারপতিদের”।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি ট্যুইট করেন, “পি চিদাম্বরমের ১০৬ দিনের কারাভোগ প্রতিহিংসা পরায়ণ। আমি আনন্দিত যে, সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে জামিন দিয়েছে। আমার বিশ্বাস যে তিনি., অবাধ বিচারে তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন”। আগে জেলে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন সনিয়া গান্ধি সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতারা। গতমাসে যান রাহুল গান্ধি ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধি।
প্রথম প্রতিক্রিয়া দেন পি চিদাম্বরমের ছেলে, তিনিও মামলায় অভিযুক্ত। একটি হাসিমুখের ছবি দিয়ে তিনি ট্যুইট করেন, “ কিছুদিন, ১০৫ দিন”। বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র কটাক্ষ করে বলেন, কংগ্রেসের “জামিনে মুক্তের দলে” ঢুকে পড়লেন পি চিদাম্বরম।
সওয়াল-জবাবের সময়, ইডি দাবি করে, হেফাজতে থেকেও গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের ওপর ক্রমাগত প্রভাব খাটাচ্ছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী।
২১ অগস্ট এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদকে গ্রেফতার করে সিবিআই, ২০০৭ সালে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন আইএনএক্স মিডিয়াকে বিদেশ লগ্নির অনুমোদন করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে, এই আইএনএক্স মিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা পিটার মুখোপাধ্যায় ও ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়।
১৬ অক্টোবর, এই মামলায় আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে পি চিদাম্বরমকে গ্রেফতার করে ইডি। আর্থিক তছরূপ করতে বিভিন্ন সেল কোম্পানি তৈরির অভিযোগ আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।
Post a comment