নয়াদিল্লি: অভিনেতা ইরফান খানের মৃত্যু বিশ্বের সিনেমা ও নাট্যজগতের বিশাল ক্ষতি! ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা অভিনেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এমনই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। মঙ্গলবার বিকেলে কোলনের সংক্রমণ নিয়ে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধিরুভাই আম্বানি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ইরফান, সেখানেই বুধবার সকালে প্রয়াত হন তিনি। বেশ কয়েক বছর ধরে মস্তিষ্কের টিউমার নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন তিনি এবং কয়েকমাস আগেই লন্ডনে চিকিত্সা শেষে মুম্বই ফিরে আসেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদি টুইট করেন, "ইরফান খানের মৃত্যু বিশ্বের চলচ্চিত্র ও নাট্যজগতের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। বিভিন্ন মাধ্যম জুড়ে তাঁর বহুমুখী অভিনয়ের জন্য তাঁকে স্মরণ করা হবে। তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং প্রশংসকদের প্রতি আমার মঙ্গলকামনা জানাই। তাঁর আত্মা শান্তি পাক।"
বলিউড জগতের ব্যক্তিত্ব এবং রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ ও তাঁর অনুরাগীরা এমন ব্যতিক্রমী অভিনেতার জন্য শোকপ্রকাশ করেছেন যার ঝুলিতে রয়েছে স্লামডগ মিলিয়নেয়ার, লাইফ অফ পাই এবং দ্য অ্যামেজিং স্পাইডার ম্যানের মতো বিশ্বব্যাপী হিট চলচ্চিত্র।
৭ জানুয়ারি, ১৯৬৭ সালে রাজস্থানে জন্মগ্রহণ করেন ইরফান। অভিনয়ের শিক্ষা গ্রহণ করেন দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায়। অভিনেতা ইরফান খানের শেষ টুইটটি ছিল তাঁর শেষ চলচ্চিত্র আংরেজি মিডিয়ামের একটি চরিত্রকে নিয়ে। “মিঃ চম্পকের মনের অবস্থা: ভিতর থেকে ভালোবাসা, বাইরে প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করছে!” ১২ এপ্রিল শেষ টুইট করেন তিনি।
ভারতের অন্যতম সেরা অভিনেতা ইরফান খানের নিউরোএন্ডোক্রিন টিউমার ধরা পড়ে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে, এর পরেই তিনি লন্ডনে চিকিত্সার জন্য যান। তিনি আংরেজি মিডিয়ামের শুটিং করতে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতে ফিরে আসেন। অল্প কিছুদিন থাকার পরে ফের তিনি লন্ডনে ফিরে যান। লন্ডনে অস্ত্রোপচার ও চিকিত্সা শেষে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতে ফিরে এসেছিলেন এই অভিনেতা।