সারদা চিটফান্ডকাণ্ড: কলকাতায় রাজনৈতিক উত্তেজনা
হাইলাইটস
- রবিবার রাত থেকে কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে ধর্না দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
- শনিবার কলকাতায় এসে চিটফান্ড প্রসঙ্গে সুর চড়ান প্রধানমন্ত্রী
- রবিবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সভা বাতিল হয়
কলকাতা: কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআইয়ের আধিকারিকদের যাওয়াকে ঘিরে পরিস্থিতি ক্রমশ বড় আকার ধারন করছে। ঘটনার পর রবিবার রাত থেকে কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে ধর্না দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে আছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। তাঁর নির্দেশেই কাজ করছে সিবিআই। আর তাঁকে এ ধরনের কাজ করতে বলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সিবিআই কি নিজের কাজ করবে না, বিরোধীদের আক্রমণ করে মত প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
এর আগে শনিবার কলকাতায় এসে চিটফান্ড প্রসঙ্গে সুর চড়ান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন চিটফান্ড দুর্নীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কোনও ব্যবস্থা করেনি। এরপর রবিবার পশ্চিমবঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাংলায় সভা করার কথা ছিল। কিন্তু উত্তরবঙ্গের বালুরঘাটের সেই সভাস্থলে হেলিকপ্টার নামার অনুমতই দেয়নি প্রশাসন। ফলে ফোনের মাধ্যমেই বক্তব্য পেশ করেছেন যোগী। নিজের বক্তব্যে যোগী বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন, যেভাবে প্রশাসন চালানো হচ্ছে তা ঠিক নয়। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এটা হয় না। এই সভা শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সিবিআইয়ের আধিকারিকরা পৌঁছে যান কমিশনারের বাড়িতে।
রাজ্যপালের থেকে রিপোর্ট চেয়েছেন বলে লোকসভায় জানালেন রাজনাথ, কেশরির সঙ্গে দেখা করলেন এডিজি
এদিকে লোকসভায় এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেছি। সিবিআইয়ের আধিকারিকদের জোর করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কমিশনার তদন্তে সাহায্য করেনি। বারবার ডাকার পর পুলিশ কমিশনার হাজিরা দেননি। আইন কার্যকর করা সংস্থা ভালভাবে কাজ করতে না পারলে সেটা দুর্ভাগ্যজনক।এমন ঘটনার কথা আগে শোনা যায়নি। চিটফান্ড কাণ্ডে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয়েছে। আর সিবিআই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই এই তদন্ত করছে। আমি রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট চেয়েছি। রাজ্যপাল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবেন। এপর তিনি বলেন, ভারতের সাংবিধানিক রীতিনীতি অনুয়ায়ী আইন কার্যকর করা যে সমস্ত সংস্থার কাজ তাদের কাজ করতে দিতেই হবে। তাই আমি আবেদন করব যাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআইয়ের কাজে সাহায্য করেন।