নিক্কো পার্ক এবং ইকো পার্ক
কলকাতা: করোনার (Coronavirus) ছায়া পিছু ছাড়েনি বিনোদন পার্কেরও। আকারে যত বড়োই হোক, যত ছড়ানোই হোক, সাবধানতা অবলম্বন করছেন ইকো পার্ক, নিক্কো পার্ক (Nicco Park) কর্তৃপক্ষ। হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন (Debasish Sen) জানিয়েছেন, ‘সরকারি নির্দেশ মেনে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকছে রবীন্দ্র তীর্থ, নজরুল তীর্থ, ওয়্যাক্স মিউজিয়াম, বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টার। ইকো পার্ক (Eco Park) আকারে বিশাল। প্রায় ১ লক্ষ লোক ধরে এখানে। তার ওপর খোলা আকাশের নীচে উন্মুক্ত প্রাঙ্গন। তাই অনেক লোক এলেও কখনোই ভিড় হয় না এখানে। মানুষ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েন বলে সংক্রমণের সম্ভাবনাও কম। তবে সতর্কতা হিসেবে বেলা আড়াইটেয় পার্ক খোলার পর টিকিট কাউন্টারে, গেটে স্যানিটাইজার থাকছে। আর ভেতরে বড় জমায়েত হতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অনুরোধ, ছোট দলে ঘুরে দেখুন পার্ক। আনন্দ যেমন থাকবে সংক্রমণও ছড়াবে না।'
বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছেন নিক্কোপার্ক কর্তৃপক্ষও। সংস্থার পক্ষ থেকে সৈকত সেনগুপ্ত (Saikat Sengupta) জানালেন, বিশাল এলাকা জুড়ে পার্ক তৈরি হওয়ায় এখানে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কম। কারণ, এখানে সবাই ভেতরে ঢুকে ছড়িয়ে যান। ফলে, তথাকথিত ভিড় এখানে তৈরি হয় না। তবু সাধারণ মানুষ এবং সংস্থার কর্মীদের কথা মাথায় রেখে কিছু বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করছি আমরা। যেমন, স্যানিটাইজারে হাত ধুয়ে তবে ভেতরে ঢোকার অনুমতি দওয়া হচ্ছে পর্যটকদের। পার্কের ভেতরে বারেবারে ঘোষণা হচ্ছে। ডিসপ্লে বোর্ডে সাবধানতা অবলম্বনের উপায় জানানো হচ্ছে। ওয়াটার পার্কের জল বিশুদ্ধ রাখা হয়েছে ক্লোরিন ব্যবহার করে। টয়লেট এবং পানীয় জলের জায়গায় হাত ধোয়ার জন্য লিক্যুইড সাবান রাখা হয়েছে। কেউ মাস্ক পরতে চাইলে এখানকার ফার্স্ট এড কর্নারে সেটাও মিলবে।
এছাড়া, প্রতিটি রাইডের স্যানিটেশন হচ্ছে। বাউলিং এরিয়ায় বাউলিং লাইন, বল, রেলিংও নিয়মিত স্যানিটাইজড হচ্ছে। বসার জায়গা, টেবিল, চেয়ার, ফুড কোর্ট কাউন্টার, বেঞ্চ ক্যফে পরিষ্কার হচ্ছে একই ভাবে। পাশাপাশি, প্রত্যেক কর্মী যাতে নিজের দায়িত্বে নিজেকে স্যানিটাইজড করেন সেদিকেও কড়া নজর রাখা হচ্ছে।