This Article is From Sep 21, 2018

বিজেপির ডাকা 12-ঘন্টার বনধ চলছে ইসলামপুরে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল 2

Islampur Clash: গতকাল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনার প্রতিবাদে আজ 12- ঘন্টার বনধ পালন করছে বিজেপি। বনধে ইসলামপুর জেলার সদর রায়গঞ্জে বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল 2।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By

Islampur Clash: ইসলামপুরের দাড়িভিটা হাইস্কুলের শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে মূল ঝামেলার সূত্রপাত।

Highlights

  • ইসলামপুরের সংঘর্ষের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল 2
  • বারো ঘন্টার বনধ ডেকেছে বিজেপি
  • বনধে ভাঙচুর করা হল বাস, এলাকা থমথমে
ইসলামপুর:

গতকাল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনার প্রতিবাদে আজ 12- ঘন্টার বনধ পালন করছে বিজেপি। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী,  মারা গিয়েছে দুজন।  গতকালের আহতদের মধ্যে ছিল এক  দশম শ্রেণির ছাত্র। আজ সকালে  আহত ছাত্রকে শিলিগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। বনধে ইসলামপুর জেলার সদর রায়গঞ্জে বাস ভাঙচুর করা হয়েছে।পুলিশ পিকেট বসেছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়। 

প্রসঙ্গত, গতকাল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে ছাত্র ও পুলিশের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে নিহত হয় একজন স্থানীয় যুবক(Islampur clash)। আহত হয় কমপক্ষে পনেরোজন ব্যক্তি। যাদের মধ্যে একজন পুলিশকর্মীও রয়েছে। এই ঘটনা নিয়েই শুরু হয়ে গেল শাসক বিরোধী তরজা। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনার জড়িত থাকার জন্য দায়ী করল আরএসএস ও বিজেপিকে। যদিও, তারা স্বাভাবিকভাবেই এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। স্থানীয় দাড়িভিটা হাইস্কুলের শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করেই এই সংঘর্ষ বাধে দু’পক্ষের মধ্যে। ছাত্রছাত্রীদের দাবি বিনা প্ররোচনায় লাঠি চালিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদে ইসলামপুরে আজ বারো ঘন্টার বনধের ডাক দিল বিজেপি। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এই বনধের তুমুল বিরোধিতা করছে।

উত্তর দিনাজপুরে ছাত্র পুলিশ খন্ড যুদ্ধে মৃত 1 আজ 12  ঘণ্টার বনধ ডাকল বিজেপি

Advertisement

অন্যদিকে, ছাত্রদের ওপর পুলিশি হানার জন্য তৃণমূল ও বিজেপিকে দায়ী করে বলেছে, এই দুই দল সাম্প্রদায়িকতা ও ভাগ করে দেওয়ার রাজনীতির ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে শিক্ষক ও ছাত্রদের।

ইসলামপুরের দাড়িভিটা হাইস্কুলের পড়ুয়ারা তাদের ইস্কুলে অঙ্ক, বিজ্ঞান এবং কলা বিভাগের জন্য শিক্ষকের দাবিতে গত 18 সেপ্টেম্বর থেকে রাস্তা আটকে প্রতিবাদ শুরু করেছিল।

Advertisement

তাদের ক্ষোভ দ্বিগুণ হয়ে যায়, যখন সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলির জন্য শিক্ষক নিয়োগ না করে করা হয় বিভিন্ন ভাষার জন্য।

এই ঘটনার পর শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বেশি রাতে একটি বৈঠক করে ওই জেলার স্কুল পরিদর্শককে দরকারি নয় এমন বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ করার কারণে সাসপেন্ড করে দেন।

Advertisement

কেন শিক্ষা দফতরের পদস্থ কর্মকর্তাদের এই ব্যাপারটি নিয়ে আগে জানানো হল না, সেই বিষয়ে উত্তর দিনাজপুরের জেলা প্রশাসনের কাছ থেকেও রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি।

Advertisement