ইসলামপুর: ইসলামপুরে ছাত্র ও পুলিশের সংঘর্ষে (Islampur Clash) মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই। প্রথম দিন মারা গিয়েছিল রাজেশ সরকার নামের এক যুবক। গতকাল মারা যায় তাপস বর্মণ নামে আরেকজন। ঘটনার সময় বাড়ির সামনের দোকানে দাঁড়িয়েছিল সে। তখনই গুলি লাগে তার গায়ে। এই দুই তরুণের পরিবার তাদের দেহ শেষকৃত্য করতে অস্বীকার করার অস্থায়ীভাবে স্থানীয় একটি নদীর ধারে দেহদুটি সমাধিস্থ করা হয়। দফায় দফায় রাস্তা অবরোধ করছে স্থানীয় মানুষ ও ছাত্ররা। বিক্ষোভকারীরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে। ইসলামপুরের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ নিয়ে আজ কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন ডাকল আরএসএস (RSS)।
পরশুদিন উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল 12 ঘন্টার বনধ পালন করেছিল বিজেপি। বনধে ইসলামপুর জেলার সদর রায়গঞ্জে বাস ভাঙচুর করা হয়।পুলিশ পিকেট বসেছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়।
প্রসঙ্গত, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে ছাত্র ও পুলিশের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে প্রথমদিন নিহত হয়েছিল একজন স্থানীয় যুবক(Islampur Clash)। আহত হয়েছিল কমপক্ষে পনেরোজন ব্যক্তি। যাদের মধ্যে একজন পুলিশকর্মীও রয়েছেন। এই ঘটনা নিয়েই ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে শাসক বিরোধীর মধ্যে তুমুল তরজা। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনার জড়িত থাকার জন্য দায়ী করল আরএসএস ও বিজেপিকে। যদিও, তারা স্বাভাবিকভাবেই এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। স্থানীয় দাঁড়িভিট হাইস্কুলের শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করেই এই সংঘর্ষ বাধে দু’পক্ষের মধ্যে। ছাত্রছাত্রীদের দাবি বিনা প্ররোচনায় লাঠি চালিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদে ইসলামপুরে আজ বারো ঘন্টার বনধের ডাক দিল বিজেপি। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এই বনধের তুমুল বিরোধিতা করছে।