This Article is From Aug 14, 2019

গভীর রাতে পৃথিবীর কক্ষপথ পার করে ফেলল চন্দ্রযান-২, অপেক্ষা চাঁদের মাটি ছোঁয়ার

Chandrayaan-2 Mission: অবতরণের পরে, রোভারটি এক চন্দ্র দিবস চাঁদের পৃষ্ঠের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। এক চন্দ্রদিবস মানে পৃথিবীর ১৪ দিনের সমান।

গভীর রাতে পৃথিবীর কক্ষপথ পার করে ফেলল চন্দ্রযান-২, অপেক্ষা চাঁদের মাটি ছোঁয়ার

Chandrayaan-2; ২২ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার লঞ্চ প্যাড থেকে ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্র অভিযান শুরু হয়

হাইলাইটস

  • Chandrayaan-2 পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে বেরিয়ে গিয়েছে
  • এবার চাঁদের কক্ষপথে ঢুকে পড়ার অপেক্ষা
  • Chandrayaan-2 সফল হলে চাঁদে পাড়ি দেওয়া চতুর্থ দেশ হবে ভারত
নিউ দিল্লি:

ভারতের চন্দ্র অভিযানের (lunar mission) সাফল্যের মুকুটে নয়া পালক যুক্ত হল মঙ্গলবার গভীর রাতে। চন্দ্রযান-২ (Chandrayaan-2) পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছে চাঁদের মাটিতে পা দিতে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (Indian Space Research Organisation) ইসরোর এক গুরুত্বপূর্ণ সাফল্যের প্রতীক হয়েই চাঁদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ভারতের চন্দ্রযান (Chandrayaan-2)। 

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-২-র অবতরণ ‘লাইভ' দেখার সুযোগ! কীভাবে?

মহাকাশ সংস্থা ইসরো (ISRO) জানিয়েছে, “ট্রান্স লুনার ইনসারর্শন বা Trans Lunar Insertion পরিকল্পনা অনুযায়ীই রাত্রি ২.২১-এ সফলভাবে পরিচালিত হইয়েছে। উপগ্রহটি চাঁদের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছে।” এই কৌশল চলাকালীন মহাকাশযানের তরল ইঞ্জিনটি প্রায় ১২০৩ সেকেন্ডে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এর সঙ্গে সঙ্গেই চন্দ্রযান-২ লুনার ট্রান্সফার ট্র্যাজেক্টরিতে (Lunar Transfer Trajectory) প্রবেশ করেছে। কক্ষপথ উত্থাপন কৌশল (orbit raising manoeuvre) আসলে একটি চাঁদের কক্ষপথে একটি উপগ্রহ স্থাপনের প্রক্রিয়া। ঘুরন্ত অবস্থাতেই এটিকে কক্ষপথে স্থাপন করা হয়।

মহাকাশ থেকে কেমন লাগে পৃথিবীকে? চোখ জুড়নো ছবি পাঠাল চন্দ্রযান

ইসরোর (ISRO) সবচেয়ে জটিল ও মর্যাদাপূর্ণ মিশন হিসাবে বিবেচিত চন্দ্রযান-২ (Chandrayaan-2) ভারতকে রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের পরে চন্দ্রপৃষ্ঠে নামা চতুর্থ দেশের তালিকায় তুলে আনবে। চাঁদের পিঠে অবতরণের শেষ চেষ্টা করেছিল ইজরায়েল, এই বছরের শুরুর দিকেই। তবে প্রথম প্রয়াসেই তা ব্যর্থ হয়েছিল।

এই মিশনের প্রস্তুতিতে ব্যয় করা হয়েছে এক হাজার কোটি টাকা। অন্যান্য দেশ এই জাতীয় মিশনে যা অর্থব্যায় করে তার তুলনায় এই প্রকল্প অনেক কম খরচে নির্মিত। ২২ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার লঞ্চ প্যাড থেকে ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্র অভিযান শুরু হওয়ার পরে ২৩ শে জুলাই থেকে ৬ অগাস্টের মধ্যে এই মহাকাশযানের কক্ষপথটি ‘ক্রমান্বয়ে পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছিল।'

প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে উদ্বোধনের এক ঘন্টার মধ্যে এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার এক সপ্তাহ পরে ফের চন্দ্রযানটি দ্বিতীয় প্রয়াসে সফলভাবে উৎক্ষেপিত হয়েছিল। ৩.৮ টনের এই উপগ্রহটি এখন পরবর্তী আরও ছয় দিন জন্য ভ্রমণ করবে এবং ২০ আগস্ট চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছানোর কথা রয়েছে চন্দ্রযানের।

ইসরো জানিয়েছে, মহাকাশযানটি (Chandrayaan-2) ২০ আগস্টে চাঁদের নিকটে আসার সঙ্গে সঙ্গেই এর তরল ইঞ্জিনটিকে আবার চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশের জন্য চালনা করা হবে। ইসরোর কথা অনুযায়ী, “এভাবেই, চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে চাঁদের মেরু পেরিয়ে মহাকাশযানকে তার চূড়ান্ত কক্ষপথে পাঠানোর জন্য চারটি কক্ষপথ কৌশলের মধ্যে দিয়ে পেরোতে হবে।”

১৩ দিন চাঁদের কক্ষপথ পর্যায়ের পরে, মহাকাশযানটি ‘বিক্রম', অর্থাৎ একটি ১.৪ টন ল্যান্ডারকে যোগ করে নেবে। এই বিক্রম চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে দুটি ক্রেটারের মধ্যে একটি উচ্চ সমভূমিতে ২৭ কেজি ওজনের রোভার ‘প্রজ্ঞা' স্থাপন করবে। ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের নরম জমিতে এটি স্থাপিত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

অবতরণের পরে, রোভারটি এক চন্দ্র দিবসের চাঁদের পৃষ্ঠের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। এক চন্দ্রদিবস মানে পৃথিবীর ১৪ দিনের সমান। ল্যান্ডারের মিশন লাইফটিও একটি চন্দ্র দিবসের হিসেবেই নির্মিত।

.