'তার আগে ২০২০-র ডিসেম্বর আর ২০২১-র জুনে দুটি 'মানবহীন' মহাকাশযান যাবে মহাকাশে।': ইসরো
হাইলাইটস
- রবত-মানবী 'ব্যোমমিত্র'র ছবি প্রকাশ্যে আনল ইসরো
- সংস্থার গগনযান প্রকল্পের অংশ এই রোবট-মানবী
- এদিন বেঙ্গালুরুতে ঘোষণা করেছেন ইসরো- প্রধান
বেঙ্গালুরু: ২০২১-এ মহাকাশে মহাকাশচারী পাঠাবে ইসরো (ISRO)। তার আগে ২০২০-র ডিসেম্বর আর ২০২১-র জুনে দুটি 'মানবহীন' মহাকাশযান যাবে মহাকাশে। ভারতীয় ওই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা এই মিশনকে 'গগনযান' (Gaganyaan) নাম দিয়েছে। তার আগে মহাকাশচারী 'রোবট-মানবী'র ভিডিও প্রকাশ্যে আনলেন ইসরো প্রধান কে শিবন। ওই রোবট মানবী (Vyom Mitra) ভারতের এই মিশনের মহাকাশচারী হিসেবে প্রাথমিক ভাবে আকাশে পাড়ি দেবে। বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ইসরো কর্তা বলেছেন, গগনযান' মিশনের উদ্দেশ্য শুধু মহাকাশে মহাকাশচারী পাঠানো না। বরং মহাকাশে ভারতীয় মহাকাশচারীদের বিচরণে নতুন মহাকাশ কেন্দ্র গড়া। এমন ঘোষণা করেই এদিন তিনি ভারতের প্রথম রোবট-মানবী 'ব্যোম মিত্র'কে প্রকাশ্যে আনেন। দেখুন সেই ভিডিও:
এদিন তিনি বলেন, "আমরা তিনটি ধাপে এই মিশনের ওপর কাজ করছি। ২০২০ আর ২০২১-এ মানবহীন মহাকাশযান পাঠানো। তারপর ২০২১-এ আবার ভারতীয় মহাকাশচারী পাঠানো। জানা গেছে, মহাকাশে, মহাকাশ কেন্দ্র গড়ার তাগিদে ইসরো ইতিমধ্যে বেঙ্গালুরুর কাছে মহাকাশযাত্রী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করেছে। এই মিশনকে সফলতার মুখ দেখাতে ইউরোপীয় এজেন্সি ও নাসার সঙ্গে সমন্বয় গড়েছে ইসরো। কীভাবে ওই সংস্থাগুলোর সঙ্গে ভারতীয় মহাকাশচারীরা কাজ করবে, তার একটা পরিকল্পনা কষেছে ইসরো। এবিষয়ে ইসরো প্রধান বলেছেন, অন্তর্গ্রহ মিশন ইসরোর প্রাধান্যের তালিকায় একদম উপরের দিকে আছে। এদিনের অনুষ্ঠানে গগনযানে ব্যবহার করা প্রযুক্তি নিয়েও আলোচনা করেছেন কে শিবন। তিনি বলেছেন, মহাকাশে শুধু মানবজীবন আর জীবনরক্ষা পদ্ধতির অভাব আছে। আমরা সেটাই পূরণ করতে যাচ্ছি।
'গগনযান' মিশনের আগে ডিসেম্বরেই প্রথম মানববিহীন মহাকাশ অভিযান করা হবে: ISRO
তিনি বলেন, 'গগনযান তৈরি করতে আমরা একাধিক সরকারি সংস্থার সাহায্য নিয়েছি। ভারতীয় বায়ু সেনা, ডিআরডিও,
সি এসআইআর ও কেন্দ্রীয় প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা আমাদের সাহায্য করেছেন।' তিনি বলেছেন, বায়ুসেনা পাইলটকে মহাকাশচারী হিসেবে মহাকাশে পাঠানো হবে।কারা যাবেন, তাও আমরা নির্বাচিত করে ফেলেছি। খুব দ্রুত মহাকাশযান ব্যবহারের প্রশিক্ষণ শুরু করবে ইসরো। এর মধ্যে স্টিমুলেটর ও মিশন সংক্রান্ত অন্য প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। মঙ্গলবার জানিয়েছেন ইসরো- প্রধান।