ওই প্রতিষ্ঠানের ইনস্টাগ্রাম পেজে বিভিন্ন পশু পাখিদের ভিডিও দেখা গেছে।
তুর্কির ইস্তানবুলের একটা ক্যাফেতে খাবার টেবিলের কয়েক মিটারের মধ্যে কাঁচের বেষ্টনীর মধ্যে সিংহ রাখার জন্য রোষের মুখে পড়তে হল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটা ভিডিওতে কাঁচের বেষ্টনীর মধ্যে সিংহ-কে এবং তার প্রায় নাগালের মধ্যেই একটা বাচ্চা মেয়েকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। এই ভিডিওতে এবং এমনই আরও বিভিন্ন ভিডিওতে ওই ক্যাফের মধ্যে থাকা একাধিক বিভিন্ন ধরণের পশুর দেখা পাওয়া যাচ্ছে যা এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু মানুষের অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আধিকারিকরা ক্যাফেকে ওই পশুদের মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে।
ইন্ডিপেনডেন্টের রিপোর্টে জানা গেছে মেভজু নামক ওই ক্যাফের তরফে দাবী করা হয়েছে তারা পশুদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে। ওই ক্যাফেতে সিংহ ছাড়াও কুমির, সাপ, ঘোড়া, খরগোশ এবং বিভিন্ন পাখিও আছে।
ওই প্রতিষ্ঠানের ইনস্টাগ্রাম পেজে বিভিন্ন পশু পাখিদের ভিডিও দেখা গেছে।
একটা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কাঁচের তৈরি সিংহের আস্তানায় একটা গর্তের মধ্যে দিয়ে খালেসি নামক সিংহটিকে খাবার সরবরাহ করা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত সাড়া জাগিয়েছে এই ভিডিও। “দয়া করে পশুগুলোকে এইভাবে প্রদর্শন করা বন্ধ করুন। এটা পশুদের ওপর অত্যাচার এবং অত্যন্ত নিষ্ঠুরতা”, লিখেছেন একজন টুইটার ব্যবহারকারী।
ইন্ডিপেনডেন্টের তরফে বলা হয়েছে, ওই ক্যাফেতে বিভিন্ন আধিকারিকরা গিয়েছিলেন এবং ক্যাফের মালিককে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের বিনিময়ে পশুদের রাখার অনুমতি দিয়েছিলেন। বনদপ্তরের আধিকারিকরা ওই ক্যাফের সঙ্গে একটা চিড়িয়াখানা গড়ে তোলার রেজিস্ট্রেশন প্রদান করেছেন। সেই কারণেই ওই পশুদের ক্যাফের ভিতরে রাখা হয়েছে। অবশ্য যদিও আধিকারিকরা কাঁচের প্রকোষ্ঠের ভিতর পশুদের রাখতে বারন করেছেন।
ওই ক্যাফের বিরুদ্ধে অনলাইন পিটিশন গড়ে উঠেছে এবং ইতিমধ্যে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ তার পক্ষ নিয়েছে। এছাড়াও এই পেজের একটা পোস্টে জানানো হয়েছে ক্যাফেটা সিল করে দেওয়া হয়েছে এবং আটক সিংহটিকে কাঁচের প্রকোষ্ঠের থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।