This Article is From Apr 03, 2020

লকডাউনে গৃহবন্দি! ব্যালকনি থেকে খাওয়ার ঝুলিয়ে দুঃস্থদের খিদে মেটাচ্ছে ইতালি

একদা সংক্রমণের ভরকেন্দ্র ছিল ফুটবলের এই দেশ, লিওনার্দো ভিঞ্চির দেশ। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হিসেবে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার মানুষের।

লকডাউনে গৃহবন্দি! ব্যালকনি থেকে খাওয়ার ঝুলিয়ে দুঃস্থদের খিদে মেটাচ্ছে ইতালি

ব্যালকনি থেকে খাবারের বাক্স ঝুলিয়ে গৃহহীনদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন নাপলসের নাগরিকরা।

হাইলাইটস

  • লকডাউনে গৃহবন্দি ইতালি। কিন্তু গৃহহীনদের খাওয়াতে অভিনব উদ্যোগ
  • ব্যালকনি থেকে খাবার ঝুলিয়ে দুঃস্থদের খিদে মেটাচ্ছে সে দেশ
  • শুক্রবার পর্যন্ত ইতালিতে সংক্রমণের জেরে মৃত প্রায় ১৩ হাজার

করোনার থাবায় ক্ষতবিক্ষত 'ছবির দেশ' ইতালি (Italy)। একদা সংক্রমণের ভরকেন্দ্র ছিল ফুটবলের এই দেশ, লিওনার্দো ভিঞ্চির দেশ। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হিসেবে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার মানুষের। তার মধ্যেও মানবিক ইউরোপের এই দেশ। ইতালিজুড়ে চলছে অনির্দিষ্টকালীন লকডাউন। ফলে 'ঘরবন্দি' নাগরিক। প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুত করে করোনার চোখ রাঙানির ভয়ে ঘরেই থাকছেন তাঁরা। কিন্তু যাদের ঘর নেই? যারা অসহায় তাঁদের কী হবে? সেই ব্যবস্থাও  (Lockdown) করেছে ইতালির নাপলসের নাগরিকরা। বাড়ির ব্যালকনি থেকে আবাসিকরা নীচে রাস্তায় ঝুলিয়ে দিচ্ছেন খাওয়ার-ভর্তি বাক্স। আর সেই বাক্স থেকেই পছন্দমতো খাদ্য তুলে নিচ্ছেন গৃহহীনরা। দা গার্জিয়ানের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শুকনো খাওয়ার, ঘরে রান্না করা আর সব্জি, সেই বাক্সে রাখছেন নাপলসের নাগরিকরা। সেই বাক্সে থাকছে পাউরুটি, পাস্তা, টমেটোর মতো খাদ্য। তাঁরা ব্যালকনি থেকে দরিদ্র, গৃহহীন মানুষদের আমন্ত্রণ করছেন। বলছেন, "ইচ্ছামতো খাওয়ার বাক্স থেকে তুলে নিতে।" সেই বাক্সের সঙ্গে নেমে আসছে একটা ছোট চিরকুটও। যাতে লেখা, "সামর্থ্য থাকলে এই বাক্সে কিছু খাদ্য ফেলুন, না থাকলে ইচ্ছামতো তুলুন।" এই মন্ত্রে ভর করেই এখন নিজেরাও খিদে মেটাচ্ছে এবং অসহায়দের মুখে খাওয়ার তুলে দিচ্ছে ইতালির ছোট শহর নাপলস।

এপ্রিলেই দেখা যাবে ২০২০ সালের বৃহত্তম গোলাপি চাঁদ! লাইভ দেখবেন কীভাবে?

স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্য সূত্রে খবর, এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে পানারো সলিডালে। অর্থাৎ সহ-নাগরিকদের পাশে থাকুন। এই উদ্যোগের মূল উদ্যোক্তা অ্যাঞ্জেলো পিকন বলেছেন, "আমরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই এই কাজ করি। সব যখন স্বাভাবিক ছিল, তখনও দুঃস্থ, অসহায় নাগরিকদের সাহায্য দিতাম। এখন ঘরবন্দি থেকেও সেই কাজ করছি।" তিনি আরও বলেছেন, "লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে ক্রমশ কমতে শুরু করে খাদ্যের জোগান। ফলে দুঃস্থ, গরিব, গৃহহীনদের মুখে খাওয়ার তোলা অসম্ভব হয়ে পড়ছিল। তখন আমি প্রথম উদ্যোগ নিয়ে ওদের খাওয়ানো শুরু করি। সেই উদ্যোগ দেখে পড়শিরা এখন এগিয়ে এসেছেন।" আমাদের মনে হয়েছে ঘরে থেকে শুধু নিজের জন্য না ভেবে সবার জন্য ভাবতে পারছি, এটাই বড় তৃপ্তি। সেই সংবাদমাধ্যমকে এমনটাও জানিয়েছেন পিকোন। 

অপর এক নাগরিকের দাবি, "বিপর্যয়ের সময় সহ-নাগরিকদের পাশে দাঁড়াতে পারলেই সফল মানবতা।" 

.