ক্ষমতা ও গুরুত্বের বিচারে জেডিইউয়ে কার্যত দ্বিতীয় ব্যক্তি প্রশান্ত কিশোর। (ফাইল)
পাটনা: বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) তাঁর ঘনিষ্ঠ দলীয় সতীর্থ প্রশান্ত কিশোরকে (Prashant Kishor) কার্যত দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিলেন। সম্প্রতি প্রশান্ত কিশোর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) নিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধেছেন। আক্রমণ করেছেন তাঁদের জোটসঙ্গী বিজেপিকে। মঙ্গলবার দলীয় নেতা ও বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের পর নীতীশ কুমার প্রশান্ত কিশোর সম্পর্কে বললেন, ‘‘রহেগা তো ঠিক, নেহি রহেগা তো ঠিক।'' প্রশান্তকে হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রবীণ নেতা বলেন, ‘‘উনি এরই মধ্যে অন্য দলের কৌশলী হিসেবে কাজ করেছেন। কিন্তু আমি একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিতে চাই। যদি উনি দলে থাকতে চান, তাহলে তাঁকে দলের গঠন সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।''
ক্ষমতা ও গুরুত্বের বিচারে জেডিইউয়ে কার্যত দ্বিতীয় ব্যক্তি প্রশান্ত কিশোর। তিনি দলের নির্বাচনী কৌশলীও। এদিন প্রশান্তকে বিঁধে নীতীশ কুমার জানান, ‘‘জানেন উনি কী করে দলে এসেছিলেন? অমিত শাহ আমাকে বলেন ওঁকে নিতে। উনি নিশ্চয়ই কিছু ভাবছেন। সম্ভবত উনি বেরিয়ে যেতে চান।''
এর আগে দলের আর এক বর্ষীয়ান নেতা পবন ভার্মার সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। কিন্তু নীতীশ কোনও পদক্ষেপ করেননি তাঁর বিরুদ্ধে।
সরাসরি বহিষ্কার করার কথা না বলে তিনি জানান, ‘‘কেউ চিঠি লিখছে। আমি উত্তর দিয়েছি। কেউ টুইট করছে। তাঁকে টুইট করতে দিন। যে থাকতে চায় সে থাকতে পারে। যে চায় না চলে যাক। আমাদের দল একেবারে ভিন্ন ধরনের দল।''
নীতীশ কুমারের মন্তব্য থেকে পরিষ্কার, তাঁর ধৈর্য ভাঙছে। তবে সরাসরি বহিষ্কারের রাস্তায় হাঁটতে চাইছেন না তিনি।
প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছেন, ‘‘নীতীশজি কথা বলেছেন। আপনাদের উচিত আমার উত্তরের জন্য অপেক্ষা করা। আমি বিহারে ফিরে ওঁকে উত্তর দেব।''
এদিকে পবন ভার্মাও গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন। তিনিও প্রশান্ত কিশোরের মতোই সিএএ-র বিরোধী। সিএএ সম্পর্কে দলের মতামত পুনর্বিবেচনা করার কথা তিনি জানান তাঁর চিঠিতে। নীতীশ তাঁর সম্পর্কেও কটাক্ষ করে বলেচেন, ‘‘উনি চাইলেই যেতে পারেন এবং তাঁর পছন্দের দলে যোগ দিতে পারেন। আমার শুভেচ্ছা রইল।''