தமிழில் படிக்க हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Aug 06, 2019

দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীর

কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) নিয়ে সরকারের অবস্থানের বিরোধিতায় সরব হয় কংগ্রেস। যোগ দেয় সমাজবাদি পার্টি, ডিএমকে, লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি এবং বামেরা।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by
নয়াদিল্লি:

জম্মু ও কাশ্মীরকে (Jammu and Kashmir) দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ভাগ করার বিল মঙ্গলবার পাশ হয়ে গেল লোকসভায়। এদিনও ওয়াকআউট করে বেশ কয়েকটি বিরোধী দল, ফলে কমে যায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা। অন্যান্যরা সরকারের পক্ষেই যায়। সোমবার সংসদে অমিত শাহের (Amit Shah) ঘোষণার পরেই বিষয়টি নিয়ে ঝড় ওঠে সংসদে, প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ৩৬৬ এবং বিপক্ষে যায় ৬৬ ভোট। জম্মু কাশ্মীরে ব্যাপক সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তারমধ্যেই অমিত শাহ ঘোষণা করেন, রাষ্ট্রপতি  রামনাথ কোবিন্দের জারি করা বিজ্ঞপ্তির মধ্য দিয়ে জম্মু কাশ্মীর(Jammu and Kashmir) থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)  আরও জানান, জম্মু ও কাশ্মীরকে(Jammu and Kashmir) ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হবে। একটি হবে বিধানসভাযুক্ত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর, অপরটি হবে বিধানসভাবিহীন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাক।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, সীমান্ত সন্ত্রাসের কারণে “তৈরি হওয়া নিরাপত্তাজনিত” কারণের ওপর ভিত্তি করে জম্মু কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

Advertisement

কাশ্মীর(Jammu and Kashmir) নিয়ে সরকারের অবস্থানের বিরোধিতায় সরব হয় কংগ্রেস। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সমাজবাদি পার্টি, ডিএমকে, লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি এবং বামেরা।

৩৭০ ধারা (Article 370) অনুযায়ী, কাশ্মীরের(Jammu and Kashmir) নিজস্ব সংবিধান রয়েছে এবং প্রতিরক্ষা, যোগাযোগ এবং বিদেশনীতি বিষয়ে কাশ্মীরের ওপর সিদ্ধান্ত নিতে পারে না কেন্দ্র। অন্যান্য জায়গায়, রাজ্য বিধানসভার অনুমোদন প্রয়োজন হয়।

Advertisement

সংবিধানের ৩৫ এ (Article 35A ধারা অনুযায়ী, এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা কে হতে পারবেন, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে তারা। কাশ্মীরে(Jammu and Kashmir) জমি কিনতে পারেন না অন্য রাজ্যের বাসিন্দারা, সরকারি চাকরির আবেদনও করতে পারেন না এবং শিক্ষাবৃত্তি পান না।

বিজেপির দাবি, এই ধারাটি “সংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত নয়” এবং পক্ষপাতমূলক এবং রাজ্যের উন্নয়নের পরিপন্থী।

Advertisement

গত কয়েকদিনে কাশ্মীরে হাজারখানেক সেনাজওয়ান মোতায়েন করা হয়। ররিবার রাতে, সেখানকার নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লা এবং মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করা হয়। ইন্টারনেট ও টেলি যোগাযোগ বন্ধ করার পাশাপাশি স্কুল ও অফিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Advertisement