কাশ্মীরে বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
নয়াদিল্লি: ‘জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) অনুন্নতির অন্যতম কারণ সংবিধানের ৩৭০ ধারা (Article 370)।' উপত্যকা থেকে কেন ওই ধারা রদ করা হল তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এবার উন্নয়নের প্রস্ততি শুরু করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার সরকারের তরফে জানা গিয়ে, কাশ্মীরে আগামী অক্টোবরে বিনিয়োগকারীদের (investors' summit) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। রাজ্যে এই ধরণের সম্মেলন প্রথম। ভূস্বর্গে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ ও ৩৫-এ ধারা রদ করেছে কেন্দ্র। এর ফলে সেখানে জমি ক্রয় সংক্রান্ত বিধিনিষেধ উঠে গিয়েছে। ফলে, শিল্পস্থাপনে বিনিয়োগকারীদের যে জমির প্রয়োজন তা পেতে আর কোনও অসুবিধা নেই। যা কাশ্মীরে বিনিয়োগে পথ অনেকটাই প্রশস্ত করে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জম্মু কাশ্মীরের পরিস্থিতি খুবই সংবেদনশীল, সরকারের আরেকটু সময় পাওয়া উচিত: সুপ্রিম কোর্ট
শিল্প ও বণিজ্য (Commerce and Industry) দফতেরর প্রধান সচিব এনকে চৌধুরীর কথায়, ‘আমরা খুব কম সময়ের মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) বিনিয়োগকারীদের সম্মেলন (investors' summit) সফল করার চেষ্টা করছি।' শিল্পস্থাপনের লক্ষ্যেই কি তাহলে সেরাজ্য থেকে দ্রুত ৩৭০ ধারা রদ করা হল? এই প্রশ্ন যখন উঠতে শুরু করেছে ঠিক তখনই এনকে চৌধুরী বলেন, ‘৩৭০ ধারা রদের সঙ্গে এই সম্মেলনের কোনও যোগ নেই।'
সরকারি তরফে এটিকে ‘গ্লোবাল ইভেন্ট' (global event) বলা হচ্ছে। যেটি, অক্টোবরের ১২ থেকে ১৪ তারিখ শ্রীনগরে (Srinagar) অনুষ্ঠিত হবে। সরকারি আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ৮টি দেশের প্রতিনিধিদের এই সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে অশান্তিতে মদত দিচ্ছে কিছু পাক নিয়ন্ত্রিত ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট
গত কয়েকদিন ধরেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে উপত্যকাকে। তারপরই গত সোমবার জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। রদ করা হয় সে রাজ্যের বিশেষ অধিকার ৩৭০ ও ৩৫-ও ধারা। রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে (Union Territories) ভাগ করা হয়েছে। তারপর থেকেই সেনা ও নিরাপত্তার কর্মীদের আরও কঠিন নজরে ভূস্বর্গ। বন্ধ ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা। সোমবার ঈদের দিনে নামাজ পাঠ হলেও রাস্তায় মানুষ তেমন বের হয়নি। জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। স্কুল কলেজ, দোকানপাট বন্ধ। কাশ্মীরের রাস্তায় কেবল সেনার বুটের দাপাদাপি।
গত বৃস্পতিবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। তিনি আশাপ্রকাশ করে বলেন, ‘উদ্যানপালন, কৃষি, হস্তশিল্প, পর্যটন শিল্প বিকাশের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে এখানে। যা বিনিয়োগকারীদের (investors) আকৃষ্ট করবে।' এক সরকারি আধিকারিকের কথায়, বড় বড় শিল্পগোষ্ঠীগলো কাশ্মীরে তিন দিনের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।