মহিলাসহ পড়ুয়াদের হেনস্থা, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগও দায়ের করেছে পড়ুয়াদের সংগঠনটি
কলকাতা: বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে পুলিশের কাছে বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন। মহিলাসহ পড়ুয়াদের হেনস্থা, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগও দায়ের করেছে পড়ুয়াদের সংগঠনটি। শনিবার তাদের অভিযোগে এএফএসইউ তরফে বলা হয়, “এবিভিপি সদস্যদের আয়োজনে একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আশার পর অনেক ঘটনা ঘটেছে”। বাবুল সুপ্রিয়কে মূল অভিযু্ক্ত চিহ্নিত করে এবিভিপির আরও পাঁচজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অভিযোগ গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যাদবপুর থানার এক আধিকারিক। মন্ত্রী এবং তাঁর দেহরক্ষীর বিরুদ্দে দুর্ব্যব্যবহারের অভিযোগ তুলে, বলা হয়েছে, “ঘটনাস্থলের আশপাশে একটি ম্যাগাজিনের ফাইল পাওয়া গিয়েছে, এর ফলে পড়ুয়াদের মধ্যে অহেতুক ভীতি তৈরি হয়েছে, ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক ছন্দে ব্যাঘাত ঘটেছে”।
একাধিকবার চেষ্টার পরেও বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।এএফএসইউ এর তরফে বলা হয়েছে, এবিভিপির সদস্যরা “অশান্তি সৃষ্টি করেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি নষ্ট করেছে, অ্যাসিড বাল্ব ছুঁড়েছে, টায়ার পুড়িয়েছে এবং পড়ুয়াদের দিকে পাথর ছুঁড়েছে ও লাঠি দিয়ে মেরেছে”। প্রায় ৫ ঘন্টারও বেশী সময় বাবুল সুপ্রিয়কে আটকে রাখার পর, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছিলেন এবিভিপির সদস্যরা, সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়েছে অভিযোগকারী সংগঠনের তরফে। এরপরে এবিভিপির পড়ুয়ারা বিশ্বিদ্যালয়ে ঢুকে পড়েন এবং ইউনিয়ন রুম ও কলা বিভাগের বিল্ডিং এ ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে।
এএফএসইউ এর অভিযোগ সম্পর্কে বিজেপি নেতা মুকুল রায় পিটিআইকে বলেন, “এটাই পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান চিত্র, যেখানে একজন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় তাঁকে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে, তারা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে, যারা বিনা প্ররোচনায় তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে”।
তাঁর অভিযোগ, যারা “বাবুল সুপ্রিয় ওপর হামলায়” জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে অভিযোগ নিচ্ছে পুলিশ। তিনি বলেন, “আমরা যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করব”।
শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন অগ্নিমিত্রা পল, তবে কোনও নাম করেননি তিনি।তাঁর অভিযোগে বলেন, তিনি বাবুলের সঙ্গে ছিলেন, যখন, “উত্তেজিত একদল” তাঁদের রাস্তা আটকায় এবং তাঁকে শারিরীকভাবে হেনস্থা করে, তাঁরা “সামাজিক ও অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে” যোগ দিতে যাচ্ছিলেন
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)