সোমবার রাতে অরবিন্দ ভবনের সামনে থেকে এই বিক্ষোভ অবস্থান শুরু হয়
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছ’টি বিভাগের প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে জট কাটল গতকাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যত শীঘ্র সম্ভব এই বিভাগের প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলি নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করার পর প্রায় দু’দিন ধরে চলা ঘেরাও অবস্থান তুলে নিল ছাত্রছাত্রীরা।
গত সোমবার ধরে চলা এই অচলাবস্থার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল উপাচার্য সহ অন্যান্য কাউন্সিল সদস্যদের তীরস্কার করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য প্রদীপ ঘোষ সাংবাদিকদের জানান কলা বিভাগের ছজন বিভাগীয় প্রধানকে নিয়ে একটি অ্যাডমিশন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোন প্রক্রিয়ায় এবং কোন দিন নেওয়া হবে প্রবেশিকা পরীক্ষা, তা ঠিক করবে ওই কমিটিই।
এই ঘোষণার পরেই ঘেরাও-অবস্থান উঠে যায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে। বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা বিকেল 4’টের সময় উপাচার্য সুরঞ্জন দাস এবং অন্যান্য এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্যদের বাড়ি যেতে দেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠন বা জুটা’র এক সদস্য সংবাদমাধ্যমকে এই কথা জানান।
প্রদীপ ঘোষ বলেন, এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, কলা বিভাগে ভর্তির ‘যোগ্যতা’ নির্ভর করবে ’50-50 ফর্মুলা’র ওপর। এমনটাই নির্ধারণ করেছে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল। অর্থাৎ, প্রবেশিকা পরীক্ষায় মোট প্রাপ্ত নম্বরের পঞ্চাশ শতাংশ নম্বর ও সংশ্লিষ্ট ছাত্র বা ছাত্রীর বোর্ডের পরীক্ষায় মোট প্রাপ্ত নম্বরের পঞ্চাশ শতাংশকে যোগ করেই প্রবেশিকা পরীক্ষায় পড়ুয়ারা বসার ব্যাপারে ‘যোগ্য’ কি না তা দেখা হবে।
একটি জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কে এন ত্রিপাঠী সংবাদমাধ্যমকে জানান তিনি বিশ্বিদ্যালয়ের গত তিনদিনের হাল হকিকতের খবর নিয়েছেন উপাচার্যের থেকে।
“আমি খবরের কাগজ পড়ে ঘটনাটা জেনেছি। উপাচার্যের কাছ থেকে ঘটনাটির বিস্তারিত বিবরণ জানতে চেয়েছি”, বলেন ত্রিপাঠী।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)