Read in English
This Article is From Sep 24, 2019

বিতর্ক এড়াতে অনুষ্ঠান আয়োজনে কড়া নিয়ম আনতে চলেছে যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয়

বিতর্কের পর এবার বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কর্তৃপক্ষ চিন্তাভাবনা করছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যাপারে আরও কড়া নিয়ম আনতে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

গত বৃহস্পতিবার এবিভিপির একটি সেমিনারে যোগ দিতে এলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়।

গত সপ্তাহে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) চত্বরে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে (Babul Supriyo)। সেই বিতর্কের পর এবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চিন্তাভাবনা করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কোনও অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যাপারে আরও কড়া নিয়ম আনতে। সোমবার সূত্রানুসারে একথা জানা গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালেয়র এক কর্মী সূত্রে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানানো হয়, পরিকল্পনা করা হচ্ছে কেবল রেজিস্টার্ড সংগঠনগুলিকেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হবে। পাশাপাশি সেই সংগঠনগুলিকে তাদের বক্তার তালিকা জমা দিতে হবে আগে। এছাড়াও কর্তৃপক্ষ অনুষ্ঠানের ভিডিও তুলে রাখবে এবং কোনও রকম মারামারির ঘটনা ঘটলে পুলিশকে জানানো হবে।

তিনি বলেন, ‘‘আমরা এটা বাধ্যতামূলক করতে চলেছি যে রেজিস্টার্ড সংগঠনগুলিকে বক্তাদের তালিকা জমা দিতে হবে রেজিস্ট্রারের অফিসে। সেই সঙ্গে চিঠি জমা দিয়ে কয়েক দিন আগেই অনুমতি নিয়ে রাখতে হবে অনুষ্ঠানের।''

বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল ছাত্র সংগঠন

Advertisement

বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী অনুষ্ঠানের আগের দিনও অনুমতি নেওয়া যায়। এমনকী কর্তৃপক্ষকে মৌখিক ভাবে জানালেও অনুষ্ঠান আয়োজনে বাধা থাকে না। সেই নিয়মই এবার বদলাতে চলেছে। তবে এই প্রস্তাব কার্যকর করতে গেলে এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের অনুমতি প্রয়োজন।

বাবুল সুপ্রিয়'র কাছে ক্ষমা চাইব না, বললেন অভিযুক্ত পড়ুয়া

Advertisement

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে কালো পতাকা দেখানো ও নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিজেপির ছাত্র শাখা এবিভিপি বা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের একটি সেমিনারে যোগ দিতে এসেছিলেন বাবুল। তাঁকে প্রথমে ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। দু'টি বাম ছাত্র সংগঠন আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ও স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার ছাত্রছাত্রীরা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বাবুলকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেয়নি। বাবুল অভিযোগ জানিয়েছিলেন, ‘‘ওরা আমার চুল ধরে টেনেছে ও ধাক্কা দিয়েছে।''

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বাইরে বের করে নিয়ে আসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে ছুটে যান তিনি। ঘটনাকে কেন্দ্র তৈরি করে বঙ্গ রাজনীতিতে তৈরি হয় বিতর্ক। রাজ্যপাল মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রতিকূল চেহারাই এতে প্রতিফলিত হচ্ছে।'' তৃণমূল কংগ্রেস এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জানায়, রাজ্যপাল এই ঘটনায় রাজনৈতিক মন্তব্য করছেন।

Advertisement

শুক্রবার বাবুল এই ঘটনার নিন্দা করে টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, যারা তাঁকে হেনস্থা করেছে তাদের মানসিক পুনর্বাসন দেওয়া হবে। তিনি তাঁর টুইটে জানান, ‘‘চিন্তা নেই, তোমাদের সঙ্গে সেই ব্যবহার করা হবে না যেটা তোমরা আমার সঙ্গে করেছ।''

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ‘জুটা'-র এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে শান্তি বজায় রাখতে চাই। এবং নিশ্চিত করতে চাই যাতে পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট না হয়। জুটা পড়ুয়াদের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রতিবাদকে সমর্থন করে। তবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বহিরাগতদের আগমন ও ভাঙচুর করে সম্পতি নষ্ট করার নিন্দা করছি।''

Advertisement

ওই ঘটনার পর অসুস্থ হয়ে পড়া সহ-উপাচার্য সুরঞ্জন দাস সোমবার কাজে যোগ দিয়েছেন।

ভিডিও দেখুন

  .  



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement