This Article is From Jan 16, 2019

অভিযুক্ত কনক সরকার আপাতত প্রবেশ করতে পারবেন না ক্যাম্পাসে, জানিয়ে দিল যাদবপুর

এই ব্যাপারে অভিযুক্ত অধ্যাপক কনক সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি ওটা 'মজাচ্ছলেই' পোস্ট করেছিলাম। পরে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ওই পোস্টের স্ক্রিনশট তুলে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ফরওয়ার্ড করে পোস্টটিকে ভাইরাল করে দেয়।

অভিযুক্ত কনক সরকার আপাতত প্রবেশ করতে পারবেন না ক্যাম্পাসে, জানিয়ে দিল যাদবপুর

অধ্যাপক সরকারের পোস্টটিকে কেন্দ্র করে নিন্দার ঝড় ওঠে

কলকাতা:

মহিলাদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়াতে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগে বুধবার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অভিযুক্ত অধ্যাপক কনক সরকারের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করা এবং পড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, "আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে অবিলম্বে অধ্যাপক কনক সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। আপাতত উনি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। পড়াতেও পারবেন না। আগামী ১৮ জানুয়ারি তাঁর পরিবর্ত স্থির করা হবে একটি বৈঠকের মাধ্যমে"। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, যতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে তরফ থেকে তৈরি করা কমিটি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ততদিন উনি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারবেন না। পাঠদানও করতে পারবেন না। 

ফেসবুকে মহিলাদের নিয়ে মন্তব্য, অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যাদবপুর

এই ব্যাপারে অভিযুক্ত অধ্যাপক কনক সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি ওটা 'মজাচ্ছলেই' পোস্ট করেছিলাম। পরে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ওই পোস্টের স্ক্রিনশট তুলে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ফরওয়ার্ড করে পোস্টটিকে ভাইরাল করে দেয়। তার ফলেই শুরু হয় এই জনরোষ। আমার কোনও মহিলাকে আঘাত করার কোনও উদ্দেশ্যই ছিল না। তাঁর কথায়, নিজের মতামত তো যে কেউ দিতে পারেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনও আছে এই নিয়ে। আমি তো স্রেফ নিজের মতামতটাই দিয়েছিলাম।

আধার কার্ডের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা অবলম্বনের বার্তা দিলেন নারায়ণন

কনক সরকারের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নেওয়া হবে বলে আগেই জািয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তিনি বলেছিলেন, ওই অধ্যাপকের মন্তব্যটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত রবিবার ওই অভিযুক্ত অধ্যাপক ফেসবুকে একটি পোস্ট করে লেখেন, কুমারী মহিলারা হল সিল করা বোতল বা প্যাকেটের মতো... তাঁর এই পোস্টটি নিয়ে তুমুল বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুক জুড়ে।  সোশ্যাল মিডিয়ার সমাজ এই মন্তব্যের জন্য ক্ষোভে ফেটে পড়ে তাঁর বিরুদ্ধে। সুরঞ্জন দাস বলেন, "উনি একজন শিক্ষক। অথচ, ওঁর মন্তব্যটি মোটেই শিক্ষকোচিত নয়। ওই মন্তব্যের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি। নিয়ম মেনেই তাঁর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থাগ্রহণ করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ"। 

হুইলচেয়ার বন্দি মেয়ের জন্য বিশেষ ইগলু বানিয়ে মন জয় করলেন বাবা

অধ্যাপকের ওই মন্তব্যের প্রতিবাদ করে জাতীয় মহিলা কমিশন মঙ্গলবার টুইট করে জানায়, তাদের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যার ভিত্তিতে ঘটনাটির তদন্ত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজিপি'র কাছে। এছাড়া, এই মন্তব্যের জন্য রাজ্য মহিলা কমিশনও। জবাবদিহি চেয়েছে কনক সরকারের কাছ থেকে।

.