Read in English
This Article is From Jul 07, 2020

কোভিড-১৯ আক্রান্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী, হোম কোয়ারান্টাইনে রেজিস্ট্রারও

কর্মচারী এবং সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার জন্য জরুরি ভিত্তিতে  কলকাতা পৌর কর্পোরেশন কর্তৃক প্রশাসনিক ভবন, অরবিন্দ ভবনের স্যানিটাইজেশন করা হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

জরুরি পরিষেবা ব্যতীত সমস্ত বিভাগ, শাখা, ইউনিট ১২ জুলাই অবধি বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

কলকাতা :

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মচারীর দেহে কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ায় ১২ জুলাই পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল কর্তৃপক্ষ। ক্লাস এবং অন-ক্যাম্পাস আকাদেমিক কার্যক্রম ১৬ মার্চ থেকেই স্থগিত হয়েছে, তবে প্রশাসনিক বিভাগ চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বিভাগে কর্মরত এই কর্মচারীর দেহে রবিবার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে বলে জানিয়েছেন এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

কর্মচারী এবং সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার জন্য জরুরি ভিত্তিতে  কলকাতা পৌর কর্পোরেশন কর্তৃক প্রশাসনিক ভবন, অরবিন্দ ভবনের স্যানিটাইজেশন করা হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু।

জরুরি পরিষেবা ব্যতীত সমস্ত বিভাগ, শাখা, ইউনিট ১২ জুলাই অবধি বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার অফিসে এসে জ্বর নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন ওই কর্মী। তাঁর সোয়াব নমুনা শুক্রবার এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল এবং রবিবারই পজিটিভ রিপোর্ট আসে বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

স্নেহমঞ্জু বসু পিটিআইকে জানিয়েছেন যে আক্রান্ত কর্মচারীর সংস্পর্শে আসায় তিনিও হোম কোয়ারান্টাইনে চলে গেছেন।

Advertisement

তিনি বলেন, “আমি হোম কোয়ারান্টাইনে রয়েছি। অরবিন্দ ভবনের অন্যরা যারা তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন বলে মনে করেন তারাও অবশ্যই হোম কোয়ারেন্টাইনে গিয়েছেন। আমি সংখ্যাটা জানি না।"

প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেছেন, “এইসমস্ত ঘটনা ৩১ জুলাই ফল প্রকাশে বাধা দেবে না, কারণ আমাদের বাড়ি থেকেই জুমের মাধ্যমে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চলছে।"

Advertisement

তবে, যদি আরও সংক্রমণ ঘটে এবং ভাইরাসের আরও কোনও বিস্তার ঘটে তবে পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ফল প্রকাশের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জরুরি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে বলেই অন্য একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

তৃণমূল কংগ্রেসের অশিক্ষক কর্মচারী ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং জানিয়েছে এই অবস্থায় কর্মীদের কাজ করার জন্য ‘চাপ' দেওয়া উচিত নয় কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির এক সদস্যও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং করোনার কারণে আকাদেমিক নির্ঘণ্ট আরও প্রভাবিত হবে কিনা সে বিষয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন।

Advertisement