This Article is From Dec 23, 2019

"বেআইনি" সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নির্দেশ রাজ্যপালের

বাম ছাত্র সংগঠন এএফএসইউ এবং এসএফআই, রাজ্যপালের এই পদক্ষেপকে “বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনে অযাচিত হস্তক্ষেপ” বলেই মনে করেছে এবং “জোর করে কিছু করলে” কঠোর প্রতিবাদ করার হুমকিও দিয়েছে।

জগদীপ ধনখর, ২৪ ডিসেম্বর সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে “বেআইনি ও অবৈধ” বলেই মনে করেন

কলকাতা:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কর্তৃপক্ষ বিশেষ সমাবর্তন (special convocation) বাতিল ঘোষণার একদিন পরই, রবিবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর (West Bengal Governor Jagdeep Dhankhar) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে একটি চিঠি দিয়ে ‘অবৈধ' প্রস্তাবটিকে অগ্রাহ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন। বাম ছাত্র সংগঠন AFSU এবং SFI, রাজ্যপালের এই পদক্ষেপকে “বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনে অযাচিত হস্তক্ষেপ” বলেই মনে করেছে এবং “জোর করে কিছু করলে” কঠোর প্রতিবাদ করার হুমকিও দিয়েছে। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য ধনখর, ২৪ ডিসেম্বর সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে স্থগিত করার জন্য ২১ ডিসেম্বর কার্যনির্বাহী পরিষদের (Executive Council) সিদ্ধান্তকে “বেআইনি ও অবৈধ” বলে উল্লেখ করে বলেন, “কার্যনির্বাহী কাউন্সিল নীতি অনুসারে কাজ করেছে কিনা তা নিয়ে একটি প্রশ্ন উঠছে।” 

রাজ্যপালকে বয়কটের হুমকি পড়ুয়াদের, স্থগিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তন

২১ ডিসেম্বর উপাচার্য কর্তৃক সমাবর্তন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে চিঠির বিষয়ে উল্লেখ করে রাজ্যপাল বলেন, “কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের বিষয়ে আপনি আমাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে উল্লেখ করেছেন। আমি এইভাবেই আচার্য হিসাবে আমার মধ্যে ক্ষমতার বাস্তবায়নের প্রার্থনা করছি... এই আইনের শর্ত অনুযায়ী নির্ধারিত প্রদত্ত ক্ষমতা অনুসারে কার্যনির্বাহী পরিষদ কাজ করেছে কিনা তা নিয়ে যদি কোনও প্রশ্ন দেখা দেয়, তবে চ্যান্সেলর বা আচার্যের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।”

“উপাচার্য হিসাবে আপনি ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে এই কার্যনির্বাহী কাউন্সিলের প্রস্তাব অগ্রাহ্য করার বিষয়ে বাধ্য হবেন,” জগদীপ ধনখরের সই সম্বলিত রাজভবনের চিঠিতে এমনটাই লেখা হয়েছে। “দয়া করে মাথায় রাখুন, যে কোনও ধরনের অবহেলা সংশ্লিষ্টদের জন্য গুরুতর পরিণতি নিয়ে আসতে পারে। এ জাতীয় অবৈধ সমাবর্তনে শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি দেওয়া হলে তাদের উপর বিরূপ প্রভাবও পড়তে পারে,” তিনি বলেন।

প্রকাশ্যে প্রতিবাদ, জামিয়ার পাশে কলকাতার সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়

কার্যনির্বাহী পরিষদ এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে রায় প্রদানের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগীয় ক্ষমতাকে অতিক্রান্ত করে গেছে বলেই মনে করেন রাজ্যপাল। রাজভবন আরও জানিয়েছে যে, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে জগদীপ ধনখর ইসির উর্ধ্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ওই সংস্থার বৈঠকে অংশ নেবেন।

উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে অবশ্য ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি।

স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া এবং আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন একটি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী স্বায়ত্তশাসনে রাজ্যপালের অনিয়ন্ত্রিত হস্তক্ষেপ পড়ুয়ারা সহ্য করবে না।"

ছাত্র সংগঠনগুলি জানিয়েছে, রাজ্যপাল “বলপূর্বক কিছু করতে চাইলে দৃঢ় বিক্ষোভ প্রদর্শন” চলবে। তবে বিজেপির প্রতিবাদের মতো নয়, আমাদের আন্দোলন গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ হবে।"

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির এক সদস্য জানিয়েছেন, তারা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আকাদেমিক পরিবেশ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য সকল পক্ষকেই অনুরোধ করবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে জুটার এক সদস্য বলেন, “আমরা আশা করি যে ২৪ ডিসেম্বর বার্ষিক সমাবর্তনের সময় শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের ডিগ্রি দেওয়ার বিষয়টি আদালতের বৈঠক নিশ্চিত করবে।”

.