This Article is From Jul 05, 2019

ইউজিসির সংশোধিত পে স্কেল কার্যকর করার দাবি তুলে প্রতিবাদ যাদবপুরের শিক্ষকদের

শিক্ষকদের দাবি, ২০১৬-এর সংশোধিত ইউনির্ভাসিটি গ্র্যান্টস কমিশনের সংশোধিত পে স্কেল কার্যকর করতে হবে।

ইউজিসির সংশোধিত পে স্কেল কার্যকর করার দাবি তুলে প্রতিবাদ যাদবপুরের শিক্ষকদের
কলকাতা:

ইউজিসির পে স্কেল কার্যকর করার দাবিতে প্রতিবাদে সামিল হলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি হতে আসা পড়ুয়াদের অভিভাবকদের কাছেও নিজেদের দাবি তুলে ধরলেন তাঁরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যাল. টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের বা জুটার সদস্যরা এদিন নিজেদের দাবিতে লিফলেটও বিতরণ করেন। পড়ুয়াদের পাশাপাশি অভিভাবকদের হাতেও সেই লিফলেট তুলে দেন তাঁরা। শিক্ষকদের দাবি, ২০১৬-এর সংশোধিত ইউনির্ভাসিটি গ্র্যান্টস কমিশনের সংশোধিত পে স্কেল কার্যকর করতে হবে। জুটার এক সদস্য বলেন, “শিক্ষকতার কাজ ছাড়াও, আমরা ভর্তি প্রক্রিয়া, প্লেসমেন্টসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজে অশিক্ষক কর্মীদের সাহায্য করি। তারপরেও আমাদের পে স্কেল আপডেট করা হচ্ছে না”।

মার্কশিট জমা রাখা সংক্রান্ত ইউজিসি-র নির্দেশ কার্যকর করতে রাজি রাজ্য

বুধবার বৈঠকে প্রতিবাদ কর্মসূচীর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। জুটার ওই সদস্য বলেন, “আমরা লাগাতার পড়ুয়া ও বিজ্ঞান এবং কলা বিভাগে ভর্তি হতে আসা অভিভাবকদের কাছে দরবার করার চেষ্টা করব  এবং ১৮ জুলাই ক্যাম্পাসে ধরনা কর্মসূচী করব। পশ্চিমবঙ্গ কলেজ এবং আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত  বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠনকেও আমাদের সঙ্গে ধরনায় বসার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা করেছি”।

এক জুটা সদস্য জানান, ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে তাঁদের দাবি পূরণ না হলে, প্রথমে সমস্ত অশিক্ষক কাজ বন্দ করে দেবেন, এবং পরে ক্লাস বয়কট করে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসবেন তাঁরা। শিক্ষকদের অভিযোগ, অন্যান্য রাজ্য করলেও, ইউজিসির সংশোধিত বেতন কার্যকর করতে লাগাতার দেরী করছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।

UGC NET 2019: কবে প্রকাশ হবে জুন মাসের পরীক্ষার অ্যান্সার কী? জেনে নিন

এক শিক্ষক জানান, বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি ছাত্র সংসদ এবং অন্যান্য কমিটিগুলিতে নির্বাচনেরও দাবি তুলেছেন তাঁরা।

ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র সারস্বত রায়ের বাবা সম্বুদ্ধ রায় বলেন, “আমরা শিক্ষকদের দাবি সমর্থন করি এবং আমাদের আশা, খুব জলদি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, যাতে ক্লাস চলায় ব্যাঘাত না ঘটে”। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.