এখানে রইল ১০'টি তথ্য:
ঘটনাস্থলের টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গিয়েছে, পুলিশ ব্যারিকেড সংলগ্ন এলাকায় দাঁড়িয়ে রাস্তার ওপর দিয়েই, একে অপরের দিকে পাথর ছুঁড়ছে বিক্ষোভকারীরা।
জানা গিয়েছে যে, এলাকায় পৌঁছায় পুলিশ এবং আধা সামরিকবাহিনী, ভিড় হঠাতে কাঁদানে গ্যা ছোঁড়ে তারা।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভস্থলে প্রচুর সংখ্যক মহিলা থাকায়, সেখানে লাঠিচার্জ করেনি পুলিশ।
নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার রাতে জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ধরনা শুরু করেন প্রায় ২০০ জন মহিলা। ব্যাপক সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে “আজাদি” স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
রাতে ভিড় আরও বাড়ে যায়, বিক্ষোভ যোগ দেন বহু মহিলা এবং শিশুরাও হাজির হয় বিক্ষোভস্থলে। বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, “নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জী থেকে আমরা স্বাধীনতা চাই”। বিক্ষোভের কারণে, সাময়িক স্থগিত রাখা হয় মেট্রো পরিষেবা।
বিজেপি নেতা বিজয় গোয়েলকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা আইএএনএস জানিয়েছে, “এই বিক্ষোভ সংগঠিত করেছে বিরোধীরা, যারা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে হারাতে পারছে না। আইনটি সংসদে পাস হয়েছে, এবং এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করা বা প্রচার করা ভুল”।
শাহিনবাগে মহিলাদের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর, যেসব জায়গায় মহিলারা আন্দোলন শুরু করেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছে এই জাফরাবাদ।
গত দুমাস ধরে শাহিনবাগের রাস্তার বিক্ষোভ, ধরনায় রয়েছেন শতাধিক মহিলা, যুব এবং বয়স্করা, দক্ষিণ-পূর্ব এবং নয়ডা সংযোগকারী রাস্তা বন্ধ বিক্ষোভের ফলে।
শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের কাছে পৌঁছাতে, বা তাঁদের সঙ্গে আলোচনার জন্য তিনজন মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
সেই মধ্যস্থতাকারীদের একজন, ওয়াজাত হাবিবুল্লাহ আদালতে হলফনামায় বলেন, এলাকায় আরও পাঁচটি বিকল্প রাস্তা রয়েছে, যেগুলি পুলিশ বন্ধ করে রেখেছে এবং বিক্ষোভকারীরা রাস্তা বন্ধ করে যাতায়াতের সমস্যা তৈরি করছে বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সঠিক নয়। তিনি জানান, সুরক্ষার জন্য ওই জায়গাটি বেছে নিয়েছেন মহিলারা, তবুও তাঁরা নিয়মিত হুমকি পাচ্ছেন।
Post a comment