Jhagadhatri Pujo : ৪৪ তম বর্ষে শ্যাম পার্কের জগদ্ধাত্রী পুজোয় এবার মায়ের ডাকের সাজ
কলকাতা: ৪৪তম বর্ষে পা শ্যাম পার্কের স্কোয়ার অ্যাথলেটিক ক্লাবের জগদ্ধাত্রী পুজোর(Jagadhatri Pujo)। এখানে নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো করা হয় দেবীকে। এবছর প্রতিমা শিল্পী নারায়ন পাল দেবীর মূর্তিটি তৈরি করেছেন। মা এখানে সেজেছেন ডাকের সাজে। প্রতিমার উচ্চতা প্রায় ২২ ফুট। গতকালই শ্যাম পার্কের জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল শ্যামল কুমার সেন। জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই চন্দননগর। ডাকের সাজ, শোলার সাজ, বিশাল উঁচু উঁচু মূর্তি দুর্গাপুজোর হাই বাজেটের পুজোকেও হার মানায় চন্দননগরে । আর তার ওপর আলোকসজ্জা। চোখধাঁধানো নানান কীর্তি ধরা পড়ে আলোক শিল্পীদের আলোকসজ্জায়। চন্দননগরের মানুষ এই কটা দিন এলাকাছাড়া হতে চান না। তবে শুধু চন্দননগর নয় এখন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতেই জগদ্ধাত্রী পুজো হয়ে আসছে । ভদ্রেশ্বর ,হুগলি,নদিয়া, কৃষ্ণনগর রয়েছে। কলকাতাতেও বিভিন্ন জায়গায় জগদ্ধাত্রী পুজো হয়ে আসছে ।
বেশ কয়েকটি বাড়িতেও জগদ্ধাত্রী পুজো হয় ,আবার পাড়ার পুজো ,বারোয়ারি পুজো করে অনেক ক্লাব । কলকাতার এমনই একটি বিখ্যাত পুজো অ্যাথলেটিক ক্লাব শ্যাম পার্কের জগদ্ধাত্রী পুজো। পুজোর এই কটা দিন গোটাপাড়া যেন একটা পরিবার । প্রত্যেকেই চেষ্টা করেন পুজোর কটা দিন প্যান্ডেলে থাকতে। বাঙালির সেরা পুজো দুর্গাপুজোর পর কোথায় আর ছুটি পাওয়া যায় । উৎসবের মরসুম শেষ, তাই ছুটিও আপাতত শেষ । কিন্তু শ্যাম পার্কের মানুষের কাছে এই জগদ্ধাত্রী পুজোই তাদের প্রাণের পুজো । তাই যে যেভাবে পারেন পূজোর এই কটা দিন পাড়ার পুজো মণ্ডপেই থাকেন। শ্যাম পার্কের জগদ্ধাত্রী পূজোর বেশ কিছু বিশেষত্ব রয়েছে এ বছর। একসঙ্গে প্রায় ১০ হাজার মানুষকে, পুজোর ভোগ খাওয়াবেন পুজো কমিটি। ভুনা খিচুড়ি ,আলুর দম ,পোলাও আরও কত কি ! একেবারে শুদ্ধ ঘি দিয়ে রান্না করা হয়েছে এই ভোগ ,যা প্রায় ১০ হাজার মানুষকে খাওয়ানোর পরিকল্পনা করেছেন পুজোর উদ্যোক্তারা।
তবে পুজোর আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন পূজোর উদ্যোক্তারা । আগামীকাল তাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চ মাতাতে আসছেন সারেগামাপা খ্যাত অঙ্কিতা এবং স্নিগ্ধজিৎ। আর আটই নভেম্বর আসছেন অভিনেতা দেব,জিৎ গাঙ্গুলি, উজ্জয়িনী ও সাহেব চট্টোপাধ্যায়।