বিজয়ওয়াড়ায় এক বিরাট জনসভায় শপথ নেন রেড্ডি
হাইলাইটস
- অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন জগন্মোহন রেড্ডি।
- বিজয়ওয়াড়ায় এক বিরাট জনসভায় বেলা ১২.২৩-এ শপথ নেন তিনি।
- তাঁর মন্ত্রিসভার বাকিরা ৭ জুন শপথ নেবেন।
বিজয়ওয়াড়া: প্রায় ৩০,০০০ লোকের সামনে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন জগন্মোহন রেড্ডি (Jagan Mohan Reddy)। তাঁর দল এবারের নির্বাচনে বিরাট জয় পেয়েছে। প্রসঙ্গত, অন্ধ্রপ্রদেশ দ্বিখণ্ডিত হওয়ার পরে তিনি হলেন রাজ্যের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপাল ইএসএল নরসিমহার কাছে শপথগ্রহণ করলেন ৪৬ বছরের জগন্মোহন রেড্ডি। বিজয়ওয়াড়ায় এক বিরাট জনসভায় বেলা ১২.২৩-এ শপথ নেন তিনি। খোলা জিপে জনসভা প্রাঙ্গনে রেড্ডি পৌঁছতেই প্রায় নায়কের সম্মান পান। জনতা বিপুল হর্ষধ্বনিতে তাঁকে স্বাগত জানায়। শয়ে শয়ে দলীয় কর্মী ও সমর্থকরা তাঁর নামে জয়ধ্বনি দিতে থাকেন। রেড্ডির হাত জোড় করে নমস্কার করতে থাকেন। আজ কেবল তিনিই শপথ নিলেন। তাঁর মন্ত্রিসভার বাকিরা ৭ জুন শপথ নেবেন।
এন চন্দ্রবাবু নাইডু, যিনি কার্যত রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস দলের কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে ভোটে হেরে গিয়েছেন। তিনি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণপত্র পেয়েও সাড়া দেননি। তাঁর পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল শপথগ্রহণের আগে রেড্ডির বাড়ি গিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে এসেছেন।
আজরে অনুষ্ঠানে তারকা অতিথি হিসে ছিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ও ডিএমকে প্রধান তামিলনাডুর এমকে স্তালিন। এই দুই নেতা মঞ্চে রেড্ডির মা, স্ত্রী ও বোনের সঙ্গে বসে ছিলেন।
রেড্ডি ও রাও, দু'জনেই শপথগ্রহণের পরে বিকেলে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
আনুষ্ঠানিক শপথগ্রহণের পরে খ্রিস্টান, ইসলামিক ও হিন্দু প্রার্থনা উচ্চারণ করেন পুরোহিতরা। শপথগ্রহণের পরে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী রেড্ডিকে টুইট করে শুভেচ্ছা জানান।
এবার বিধানসভা ভোটে ১৭৫ আসনের মধ্যে ১৫১টিতে জয়লাভ করে ওয়াইএসআর কংগ্রেস। পাশাপাশি লোকসভাতেও ২৫টির মধ্যে ২২টি আসন দখল করে তারা। পর্যদুস্ত হয় চন্দ্রবাবু নাইডুর দেশম পার্টি।
গত রবিবার রেড্ডি দিল্লি এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে নানা বিষয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়। যার অন্যতম বিষয় ছিল রাজ্যের স্পেশাল স্ট্যাটাস প্রাপ্তি।
জগন্মোহন রেড্ডি অন্ধ্রপ্রদেশের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস রাজশেখরা রেড্ডির পুত্র। রাজশেখরা ২০০৯ সালে চপার দুর্ঘটনায় নিহত হন। উত্তরাধিকার সূত্রে বাবার সমর্থকদের সমর্থন পেয়েছেন রেড্ডি। ২০১১ সালে নতুন দল তৈরি হলে সেই দলের প্রধান হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার ছিল তাঁর। দু'টি পদযাত্রা এব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। যার অন্যতম গত বছর রাজ্যের স্পেশাল স্ট্যাটাস পাওয়ার দাবিতে করা মিছিলটি। বলা হয়, রেড্ডির স্পেশাল স্ট্যাটাস আন্দোলনের ফলেই নাইডু বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে বিরোধী শিবিরে যোগ দেন।