This Article is From Dec 18, 2019

দুই সময়ে দু'রকম কথা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ভিডিও দিয়ে ট্রোল করলেন রাজ্যপাল

CAA: ওই ভিডিওতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি ক্লিপিংস রয়েছে, একটিতে দেখা যাচ্ছে তিনি ২০০৫ সালে লোকসভায় বাংলায় "অনুপ্রবেশ" সম্পর্কিত অভিযোগ করছেন

দুই সময়ে দু'রকম কথা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ভিডিও দিয়ে ট্রোল করলেন রাজ্যপাল

এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাগযুদ্ধ বাঁধে রাজ্যপাল ধনখড়ের

হাইলাইটস

  • নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফের দ্বন্দ্ব রাজ্যপালের
  • মুখ্যমন্ত্রীর দুই সময়ের দুটি বক্তব্য তুলে ধরে ভিডিও টুইট করলেন তিনি
  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০০৫ সালে সংসদে দাঁড়িয়ে অনুপ্রবেশ বন্ধের কথা বলেন
কলকাতা:

রাজ্যের (West Bengal) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের একবার বিঁধলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, কিন্তু এবার একেবারে অন্য কৌশলে মুখ্যমন্ত্রীকে তিরবিদ্ধ করার চেষ্টা করলেন তিনি। এর আগে টুইটারে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাগযুদ্ধ হয় রাজ্যপালের (Jagdeep Dhankhar)। কিন্তু এবার রাজ্যপাল ধনখড় নিলেন অভিনব কৌশল। রাজ্যপাল এবার টুইটারে একটি ফেসবুক ভিডিও পোস্ট করেন যাতে  মুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে একটি শিরোনাম দেন তিনি । রাজ্যপাল লেখেন, "বিশ্লেষণমূলক ভিডিও যা যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে"। ওই ভিডিওতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি ক্লিপিংস রয়েছে, একটিতে দেখা যাচ্ছে তিনি ২০০৫ সালে লোকসভায় বাংলায় "অনুপ্রবেশ" সম্পর্কিত অভিযোগ করছেন এবং বিষয়টিকে তিনি "বিপর্যয়" বলে উল্লেখ করছেন। সঙ্গে এই ভিডিওতে দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সাম্প্রতিক সময়ের এক ভিডিও ক্লিপ যাতে তিনি নাগরিকত্ব আইনের (CAA Citizenship Amendment Act) বিরুদ্ধে ভাষণ দিচ্ছেন। 

নতুন নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যে সব অমুসলিম মানুষরা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা এবার ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বলেছেন, নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি, দুটোর কোনওটাই পশ্চিমবঙ্গে প্রয়োগ করতে দেবেন না তিনি।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়!

আর এই নাগরিকত্ব আইন নিয়েই নতুন করে উত্তপ্ত হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল সম্পর্ক। জগদীপ ধনখড়কে  "বিজেপির এজেন্ট" বলে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে রাজ্য (West Bengal) জুড়ে চলমান বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পুলিশের মহানির্দেশক এবং মুখ্যসচিবকে তলব করেন। কিন্তু তাঁরা দুজনে কেউই রাজ্যপালকে এ সম্পর্কে কিছু না জানালে, রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্যক্তিগতভাবে জানাতে বলেছিলেন। এই ঘটনায় পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি লেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

যেভাবে প্রায় প্রতিদিনই রাজ্য সরকারের সমালোচনা করছেন জগদীপ ধনখড়, সেই প্রসঙ্গে তিনি দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, "আপনার ঘন ঘন টুইট এবং সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য সরকার তথা রাজ্যের উর্ধ্বতন আধিকারিকদের কাজের সমালোচনা করা দেখে আমি সত্যিই দুঃখিত"।  "আপনি নিঃসন্দেহে তারিফ না করে পারবেন না যে, বর্তমানে সারাদেশে যা চলছে তার থেকে অনেক শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখতে পেরেছে রাজ্য প্রশাসন", বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

‘‘ক্যাব-এনআরসি করতে হলে আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে করতে হবে'': মুখ্যমন্ত্রী

পাশাপাশি রাজ্যপালকে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে আলাদাভাবে জানানো তাঁর প্রশাসনের "প্রধান কাজ" নয় বলে জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী এবং শান্তি বজায় রাখতে রাজ্যপালের প্রতি "দয়া করে সহযোগিতা" করার আবেদন করেন তিনি।

এর জবাবে, রাজ্যপাল তাঁর যুক্তিকে "অযৌক্তিকভাবে স্পর্শকাতর দৃষ্টিভঙ্গি" বলে উল্লেখ করে গোটা ঘটনায় "গভীর বেদনা ও উদ্বেগ" প্রকাশ করেন।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইতিমধ্যেই জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এই কাজের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে একটি নাগরিক তালিকা তৈরির সুবিধা হবে বলে আশা করা হয়েছিল। এদিকে কেন্দ্র বলেছে যে নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির হাতে কোনও বিকল্প নেই।

জেনে নিন কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রী, দেখুন এই ভিডিও:

.