পাকিস্তান বলেছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই- মহম্মদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এনডিটিভি জানতে পেরেছে এরপরও নিজেদের ভারত বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে ফাঁকি দিচ্ছে না জইশ। জেইএম-র সাপ্তাহিক পত্রিকা আল কালাম এখনও ইন্টারনেটে পড়া যাচ্ছে। আর তাতে ছদ্ম নামে প্রায় ২৫০ টি প্রবন্ধ লিখেছে মাসুদ আজাহার। জইশ প্রধান ভারতের মাটিতে ঘটে যাওয়া একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলার মাস্টারমাইন্ড। তার ছদ্ম নাম সা আদি। শেষ প্রবন্ধটি আপলোড হয়েছে গত মাসের ২৭ তারিখ। ঠিক একদিন আগে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে গিয়ে জইশের প্রধান ঘাঁটিতে আঘাত হানে ভারতীয় বায়ু সেনা। এই বিষয়টি তুলে ধরে প্রবন্ধে লেখা হয়েছে ভারত যেন না ভাবে যে আমরা ভয় পাচ্ছি।
ইন্টারনেটে এখনও পত্রিকা হাজির থাকায় বোঝাই যাচ্ছে যে এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার যে দাবি পাকিস্তান করেছিল তা অমূলক।
ভারতে সন্ত্রাসী হামলার জন্য যারা দায়ী, এবার তাদের ঘরে ঢুকে মেরে আসব: প্রধানমন্ত্রী মোদী
ওই প্রবন্ধ প্রকাশের সাত দিন আগে আরও একটি লেখা আপলোড হয়েছে ইন্টারনেটে। সেটি পুলওয়ামার হানা সংক্রান্ত।
দিন দুয়েক আগে জানা যায় জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই- মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজাহারের মৃত্যু নিয়ে জল্পনা দেখা যায় কিন্তু পরে জানা যায় সে এখনও বেঁচে আছে । পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমকে রবিবার মাসুদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ কেউ তার বেঁচে থাকার কথা জানায়। তবে তার ব্যাপারে অন্য কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়নি। পাকিস্তানের জিও উর্দু নিউজ জানিয়েছে মাসুদ আজাহার মারা গিয়েছে বলে যে খবর রটানো হচ্ছে তা ভুল। জইশ প্রধানের মৃত্যু নিয়ে জল্পনা হতে থাকে রবিবার বিকেল থেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনা হতে থাকে। তবে কোন সূত্র থেকে এই খবর ছড়াল তাও স্পষ্ট হয়নি।