জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছেন ওই মহিলা
জলপাইগুড়ি: ছ'বছর আগে ডিসেম্বরের এক সন্ধ্যায় দিল্লিতে ঘটেছিল নির্ভয়া-কাণ্ড। গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল সেই পাশবিক ঘটনাটি। ওই ঘটনার স্মৃতি ফের দগদগে করে তুলল ঠিক অমনই আরেকটি ঘটনা। এবার এই রাজ্যে। জলপাইগুড়িতে। ধর্ষণ করার পর যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই মহিলাকে নিরঞ্জন পট এলাকার একটি পুকুরের সামনে ডাকে জমির সমস্যা সংক্রান্ত কিছু আলোচনার জন্য। ওই মহিলাকে সেখানে গেলে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। মূল অভিযুক্তের সঙ্গে আরেকজনও লিপ্ত হয়েছিল ধর্ষণের ঘটনায়। ধর্ষণ করার পর ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ওই মহিলাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এক রিকশাচালক এসে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে তাঁর বাড়িতে দিয়ে আসে।
ওই ঘটনার সময় ধর্ষিতার স্বামী আশেপাশে ছিলেন না।
এই নারকীয় ঘটনাটির সঙ্গে 2012 সালের দিল্লি গণধর্ষণের ঘটনাটির মিল খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই। 16 ডিসেম্বর 2012 সালের ওই রাতে চলন্ত বাসে ছ'জন মিলে ধর্ষণ করেছিল দিল্লির এক মেডিকেল পড়ুয়াকে। শরীরে ভয়াবহ ক্ষত ও যন্ত্রণার সঙ্গে লড়াই চালাতে চালাতে 13 দিন বাদে মারা যান তিনি সিঙ্গাপুরের এক হাসপাতালে।
ওই ছ'জন অভিযুক্তের মধ্যে পাঁচজনকেই মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বাকি একজন নাবালক হওয়ার সুবাদে সর্বোচ্চ তিন বছর সংশোধনাগারে থেকে ইতিমধ্যেই ছাড়া পেয়ে গিয়েছে।
জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছেন ওই মহিলা।