সোমবার বিকেলে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ যোগ দেয় তামিলনাড়ু, এদিন চেন্নাই সুবারবার্ন রেলস্টেশনে জড়ো হন এসএফআই সমর্থকরা। ক্যাম্পাসে মিছিল করেন মাদ্রাজ আইআইটির পড়ুয়ারা, একই পথে হাঁটেন লয়েলা কলেজের পড়ুয়ারাও। তিরুভান্নামালাইয়ে বিক্ষোভের পাশাপাশি স্লোগান দেন সরকারি আর্ট কলেজের পড়ুয়ারা।
কর্নাটকে নাগরিকত্ব বিলকে নয়া “স্বাধীনতার যুদ্ধ” বলে মন্তব্য করে বিক্ষোভে সামিল হন হাজার হাজার মানুষ। সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ বেঙ্গালুরুর টাউন হলে জমায়েত হন জয় বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এবং ন্যাশনাল ল স্কুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।|
এদিন সকালে, উত্তরপ্রদেশের নাদওয়াতুল উলেমার পড়ুয়ারা প্রতিবাদ মিছিল বের করতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ, তারপরেই পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। শখানেক পড়ুয়াকে জোর করে আটকে দেওয়া হয়। রাজ্যের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়ুয়ারা বিক্ষোভ করলে, তিনদিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়।
মুম্বইয়ে ক্লাস বয়কট করেন টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সের পড়ুয়ারা, মাঠে নেমে কাজ করেন। বিক্ষোভের পরিকল্পনা রয়েছে মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদেরও।
.দেশের অন্যান্য প্রান্তে, নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভের পরিকল্পনা রয়েছে উত্তরপ্রদেশের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় এবং চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের।|
সোমবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢ়রা বলেন, পড়ুায়দের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ “দেশের আত্মার অপমান”। পড়ুয়াদের প্রতি সহমর্মিতা দেখাতে এদিন দুঘন্টার মৌন প্রতিবাদে যোগ দেন তিনি, তারপরেই সরকারের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন তিনি।
.
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে পড়ুয়া এবং অন্যান্যদের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। নয়া আইনে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশের অমুসলিম নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ সহজ করা হয়েছে। সমালোচকদের দাবি, এই নয়া আইন মুসলিমদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক এবং তা সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্থী।
.ঝামেলার শুরু রবিবার সন্ধ্যায়, ওইদিন জামিয়া পড়ুয়ারা মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়, তাঁদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ, পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে প্রায় ১০০ জন পড়ুয়াকে আটক করে। ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ সমস্ত পড়ুয়াকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঝামেলার শুরু রবিবার সন্ধ্যায়, ওইদিন জামিয়া পড়ুয়ারা মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়, তাঁদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ, পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে প্রায় ১০০ জন পড়ুয়াকে আটক করে। ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ সমস্ত পড়ুয়াকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
10.পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনাটি নজর দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং এবং কোলিন গঞ্জালভেস, পাশাপাশি কী ঘটেছে তা জানতে দুজন আবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে সেখানে তদন্তে পাঠানোর আর্জি জানান তাঁরা। ইন্দিরা জয়সিং বিষয়টিকে, “গুরুতর মানবধিকার লঙ্ঘন” বল মন্তব্য করেন।