Jamia University: জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে বন্দুক হাতে হামলা চালায় এক উন্মত্ত তরুণ
হাইলাইটস
- বৃহস্পতিবার জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালায় এক বন্দুকধারী
- একাদশ শ্রেণির ছাত্র ওই বন্দুকধারীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের
- অভিযুক্তকে রেয়াত করা হবে না বলে কড়া বার্তা দিলেন অমিত শাহ
নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jamia University) তাণ্ডব চালানো (Jamia Firing) তরুণের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ আনল দিল্লি পুলিশ। একাদশ শ্রেণির ছাত্র বছর সতেরোর ওই তরুণের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে যে কিছুদিন আগেই ওই তরুণ একটি দেশি বন্দুক কেনে এবং বন্দুকটি হাতে পাওয়ার পর থেকেই সে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে যাঁরা বিক্ষোভ (CAA Protest) দেখাচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করে। এই ঘটনায় যাতে কোনওভাবেই আইনের ফাঁক গলে অভিযুক্ত বাঁচতে না পারে তার জন্যে দিল্লি পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে রোজকার মতোই স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ওই তরুণ। তাঁর বাড়ি দিল্লি থেকে প্রায় ৬৮ কিলোমিটার দূরে জেওয়ারে। কিন্তু সে স্কুলে না গিয়ে দিল্লিগামী বাসে উঠে পড়ে। তারপরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jamia Millia Islamia University) ঢুকে ওই হামলা চালায়।
বাপুর স্বপ্ন পূরণ করতেই সিএএ পাস করানো হয়েছে, বললেন রাষ্ট্রপতি Ram Nath Kovind
বৃহস্পতিবার দুপুরে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ সভা লক্ষ্য করে গুলি চালায় উন্মত্ত ওই তরুণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদী পড়ুয়াদের দিকে বন্দুক তাক করে সে বলে, "এই নে আজাদি" (Here is your Freedom)। এরপর সে সত্য়ি সত্যি গুলিও চালায়। তাঁকে থামাতে গেলে গুলিতে আহত হন জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শাদাম ফারুখ নামের এক পড়ুয়া, তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। তৎক্ষণাৎ অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হামলা চালানোর আগে ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিংও করে ওই তরুণ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় রামভক্ত গোপাল নামে অভিযুক্ত তরুণের আগের পোস্টগুলি দেখলেই বোঝা যায়, সে অনেক দিন ধরেই মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছিল হামলার। পাশাপাশি এর পরিণতি কী হতে পারে সে ব্যাপারেও যথেষ্ট সচেতন ছিল উন্মত্ত তরুণ। ফেসবুকে তাঁর একটি পোস্টে রামভক্ত গোপাল লিখেছে, ‘‘আমার শেষ যাত্রায় আমাকে গেরুয়ায় মুড়িয়ে দিও আর স্লোগান দিও ‘জয় শ্রী রাম'।'' আরও একটি পোস্টে সে লেখে‘‘শাহিনবাগ, গেম ওভার।''
"ওঁর হাত কেটে দেওয়া উচিত ...": জেএনইউয়ের ছাত্র Sharjeel Imam-এর প্রসঙ্গে বলল শিবসেনা
ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, অভিযুক্তকে রেয়াত না করতে। এই ধরণের ঘটনা সমর্থন করে না সরকার, এমনটাও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। বিশেষত কলেজ ক্যাম্পাসে এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতে এই প্রথমবার নাগরিকত্ব আইনে ধর্মকে নাগরিক হওয়ার মাপকাঠি করা হয়েছে। যদিও সরকারের দাবি, এই আইনের ফলে, ২০১৫ এর আগে, ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে চলে আসা তিন মুসলিম অধ্যুষিত দেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ সহজ হবে । কিন্তু সমালোচকদের দাবি, এই আইনটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিভাজনমূলক এবং তা সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতাকে লঙ্ঘন করে।