Jamia firing: কারা এই ধরণের ঘটনায় মদত জোগাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাহুল গান্ধি
হাইলাইটস
- জামিয়ায় বন্দুকবাজের হামলা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন রাহুল গান্ধি
- কারা মদত জোগাচ্ছে এই ধরণের ঘটনায় তা নিয়েই প্রশ্ন তাঁর
- জামিয়া কাণ্ডে অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেফতার করা হয়েছে
নয়া দিল্লি: জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jamia Millia Islamia University) বৃহস্পতিবার বন্দুক হাতে তাণ্ডব চালানো (Jamia Firing) তরুণকে গ্রেফতার করে তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা করা হলেও ঘটনার নেপথ্যের আসল আসামি লুকিয়ে আছে বলেই মনে করছেন রাহুল গান্ধি। শুক্রবার সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ (Parliament) চত্বরে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস সাংসদ (Rahul Gandhi) বলেন, “জামিয়ার ওই বন্দুকবাজকে কে টাকা দিয়েছিল? এটা সবাইকে জানতে হবে। নিশ্চয়ই কারও নির্দেশেই সে ওখানে গেছে। এই ঘটনার নেপথ্যে থাকা থাকা মাথার খবর না পেলে এই ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ সভা লক্ষ্য করে গুলি চালায় উন্মত্ত ওই তরুণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদী পড়ুয়াদের দিকে বন্দুক তাক করে সে বলে, "এই নে আজাদি"। এরপর সে সত্য়ি সত্যি গুলিও চালায়। তাঁকে থামাতে গেলে গুলিতে আহত হন জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শাদাম ফারুখ নামের এক পড়ুয়া, তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। তৎক্ষণাৎ অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই ধরণের ঘটনার পিছনে কারা মদত জোগাচ্ছে সে বিষয়েই প্রশ্ন তোলেন কেরলের ওয়ানাড কেন্দ্রের সাংসদ। এর আগে বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধি মহাত্মা গান্ধির একটি উক্তি ট্যুইট করেন যাতে বলা ছিল, "আমি আপনাকে হিংসার পথ দেখাতে পারি না, কারণ এতে আমি বিশ্বাস করি না। আমি কেবল আপনাকে নিজের জীবনের মূল্য দিয়ে হলেও কারও সামনে মাথা নত না করার বিষয়টি শেখাতে পারি।"
Jamia Firing: বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলি চালানো একাদশ শ্রেণির ছাত্রের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের
শুক্রবার থেকেই সংসদে শুরু হয় বাজেট অধিবেশন। তার আগে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস সাংসদরা। বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন সনিয়া গান্ধি এবং রাহুল গান্ধি।
ইতিমধ্যেই যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, অভিযুক্তকে রেয়াত না করতে। এই ধরণের ঘটনা সমর্থন করে না সরকার, এমনটাও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ওই তরুণের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগে মামলা করেছে দিল্লি পুলিশ। একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও মামলা দায়ের করা হয় । পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে যে কিছুদিন আগেই ওই তরুণ একটি দেশি বন্দুক কেনে এবং বন্দুকটি হাতে পাওয়ার পর থেকেই সে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করে।
"এবার পোশাক দেখে চিনুন", জামিয়ার গুলি-কাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ Asaduddin Owaisi -র
বৃহস্পতিবার জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই হামলার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি আসাউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি বলেন, "এবার আপনি (নরেন্দ্র মোদি) সহজেই পোশাক দেখে বের করতে পারবেন, কারা হিংসা ছড়ায়"।
একাধিক টুইট করে এআইএমআইএম-এর ওই সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকেও কটাক্ষ করেছেন। তিনি টুইটে বলেন, "অনুরাগ ঠাকুর ও অন্য বিজেপি নেতারা, দেশজুড়ে এত ঘৃণা ছড়িয়েছেন, যে একজন আততায়ী পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ছে। আর পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে"।