Jamia firing: উত্তরপ্রদেশের জেওয়ারের বাসিন্দা ওই কিশোর বাড়ি থেকে বলে বেরিয়েছিল সে স্কুলে যাচ্ছে।
হাইলাইটস
- ১৭ বছরের কিশোর চেয়েছিল শাহিনবাগে আতঙ্ক ছড়াতে
- পুলিশ জানিয়েছে, তার মধ্যে কোনও অনুশোচনা নেই
- বৃহস্পতিবার তা ছোঁড়া গুলিতে আহত হন এক পড়ুয়া
নয়াদিল্লি: জামিয়ার পড়ুয়াদের উপরে বৃহস্পতিবার গুলি চালিয়েছিল এক কিশোর বন্দুকবাজ (Jamia Teen Shooter)। সে আসলে শাহিনবাগের আন্দোলনের (Shaheen Bagh) উপরে গুলি চালাতে চেয়েছিল। এদিন পুলিশ একথা জানিয়েছে। দিল্লি পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গুলি চালানোর জন্য হামলাকারী কিশোরের মধ্যে কোনও অনুশোচনা দেখা যায়নি। পুলিশের অনুমান, সোশ্যাল মিডিয়া, টিভি চ্যানেল এবং হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিও থেকে ওই কিশোর প্রভাবিত হয়েছিল। পুলিশ সূত্র জানাচ্ছে, ১৭ বছরের কিশোর চেয়েছিল শাহিনবাগে আতঙ্ক ছড়াতে। উত্তরপ্রদেশের জেওয়ারের বাসিন্দা ওই কিশোর বাড়ি থেকে বলে বেরিয়েছিল সে স্কুলে যাচ্ছে। কিন্তু এরপরই সে দিল্লিগামী বাসে উঠে পড়ে। উদ্দেশ্য ছিল শাহিনবাগে হামলা করা।
প্রসঙ্গত, শাহিনবাগে শয়ে শয়ে মহিলা শিশুদের নিয়ে রাস্তা দখল করে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করেছেন।
এক পুলিশ আধিকারিক হামলাকারী কিশোর সম্পর্কে বলছেন, ‘‘ও জানত না কী করে শাহিনবাগে যেতে হয়। এক অটো চালক ওকে জামিয়ার সামনে নামিয়ে দেয় এবং ওকে জানায় শাহিনবাগে তার পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়, কেননা রাস্তা বন্ধ রয়েছে। ওই অটো চালক তাকে হেঁটে যেতে বলে।''
দুপুরবেলা জামিয়ার সামনে পৌঁছে ওই কিশোর দেখতে পায় সেখানে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। পরবর্তী এক ঘণ্টা ফেসবুকে লাইভ করার পর সে প্রতিবাদীদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে গুলি চালায়।
ওই কিশোর ভিড়ের দিকে এগিয়ে গিয়ে চেঁছাতে থাকে ‘‘ইয়ে লো আজাদি'' অর্থাৎ এই নাও স্বাধীনতা। রুদ্ধশ্বাস কয়েকটি মুহূর্ত কাটার পরে অবশেষে এক পুলিশ আধিকারিক তাকে ধরে ফেলেন।
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা বন্দুকধারীকে ধরতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়নি। কিন্তু পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তারা প্রথমে ওই কিশোরের হাতে বন্দুক খেয়াল করতে পারেনি। তাদের দাবি, ওই কিশোর পুলিশি অবস্থানের থেকে পিছন দিকে ঘুরে তাকায় তার হাতের আগ্নেয়াস্ত্রকে তারা দেখতে পায়নি।