Read in English
This Article is From Dec 16, 2019

জামিয়া মিলিয়ায় লাইব্রেরির মধ্যে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাল পুলিশ; প্রাণ বাঁচাতে দৌড়

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির ভেতরে ছাত্রছাত্রীরা মুখ ঢাকছে, টিয়ার গ্যাসের ধোঁয়ায় গোটা ঘর ভরে গিয়েছে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেও রেয়াত নেই! লাইব্রেরিতে থরে থরে সাজানো বইয়ে এখন শুধুই টিয়ার গ্যাসের ঝাঁঝ। নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় পুলিশের। পুলিশ অবশ্য লাঠিচার্জেই থামেনি, লাইব্রেরির মধ্যে ঢুকে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটিয়েছে পুলিশ। প্রকাশিত একটি ভিডিওতে আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা গিয়েছে ছাত্রছাত্রীদের। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এখন গত সপ্তাহে কার্যকর হওয়া নতুন আইনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ছাত্রবিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক পড়ুয়াকে আটক করে পুলিশ। রাত সাড়ে তিনটের দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাদের।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির ভেতরে ছাত্রছাত্রীরা মুখ ঢাকছে, টিয়ার গ্যাসের ধোঁয়ায় গোটা ঘর ভরে গিয়েছে। “দয়া করে ফ্যান চালান,” বলতে শোনা যায় এক পড়ুয়াকে। সারা লাইব্রেরি জুড়ে চেয়ারও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়। এক পড়ুয়াকে অন্যদের আতঙ্ক সৃষ্টি না করার জন্য অনুরোধ করতেও শোনা যায়। “ওরা আমাদের নির্দয়ভাবে মারধোর করেছে,” বলে ওঠেন অন্য একজন ছাত্র।

রবিবার সন্ধ্যায় পড়ুয়াদের বিক্ষোভ মিছিল শেষে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধ্বস্তি শুরু হয়, গাড়ি ভাঙচুর এবং গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় পরিস্থিতি চরমে ওঠে। পরে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে প্রায় ১০০ পড়ুয়াকে আটক করে। এনডিটিভিকে এক পড়ুয়া জানান, তাকে ক্যাম্পাসের ভিতরে একটি লাইব্রেরি থেকে জোর করে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জামিয়ার চিফ প্রোক্টর ওয়াসিম আহমেদ খান বলেন, “পুলিশ জোর করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে, কোনও অনুমতিই দেওয়া হয়নি। আমাদের কর্মী ও শিক্ষার্থীদের মারধোর করা হচ্ছে এবং ক্যাম্পাস ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হয়েছে।” পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে যে হিংস্র জনতা ভিতরে ঢুকে পাথর ছোঁড়া শুরু করার পরেই তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকেন। উর্ধ্বতন পুলিশ অফিসার চিন্ময় বিসওয়াল এনডিটিভিকে বলেন, “আমরা কোথা থেকে কারা এই হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিল তা খতিয়ে দেখছিলাম।"

নাগরিকত্ব আইনে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আগত মুসলিম বাদে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলায় দেশের বহু অংশেই বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্বে হিংসাত্মক আন্দোলন শুরু হয়েছে। অসমে হাজার হাজার মানুষ কারফিউ অমান্য করে রাস্তায় নামলে পুলিশের গুলিতে তিনজন মারা যান এবং বেশ কয়েকজন আহতও হন।

Advertisement
Advertisement