Read in English
This Article is From Dec 16, 2019

জামিয়া বিক্ষোভকারীদের গুলির আঘাত রয়েছে, জানালেন চিকিৎসকরা, গুলি চালানোর কথা অস্বীকার পুলিশের

বিক্ষোভ হঠাতে গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে দিল্লি পুলিশ, জনতা এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by
নয়াদিল্লি:

রবিবার দিল্লিতে বিক্ষোভে (Delhi Protest)  যোগ দেওয়া দুজন গুলিতে আঘাত পাওয়ায় তাঁদের সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, NDTV কে এমনটাই জানিয়েছেন হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিটেনডেন্ট। তবে তাঁদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। বিক্ষোভ হঠাতে গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে দিল্লি পুলিশ, জনতা এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ভিড় হঠাতে লাঠিচার্জের পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ, অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ্য করেন বিক্ষোভকারীরা, এবং অগ্নিসংযোগ করা হয় বলেও অভিযোগ। রবিবারের সংঘর্ষের পর, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করছিল যাচাই না করা বিক্ষোভকারীদের আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও।

তবে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের যে অভিযোগ উঠেছে, সোমবার আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তারা। দিল্লি পুলিশের জনসংযোগ আধিকারিক এমএস রান্ধাওয়া সোমবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “কোনও গুলি চালানো হয়নি, জামিয়ার হিংসার ঘটনায় কেউ আহত হননি”।

রবিবার বিক্ষোভ শুরু হতেই তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ, তাঁদের এগিয়ে যেতে নিষেধ করে পুলিশ। তবে, পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার পাশাপাশি সেখানে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জের পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। 

Advertisement

পরে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়ে পুলিশ এবং ভোর ৩ টে পর্যন্ত প্রায় কয়েকশো পড়ুয়াকে আটক করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বলা হয়েছে, কোনও অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে ঢুকে পড়েছে তারা এবং কর্মী ও পড়ুয়াদের হেনস্থা করা হয়েছে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, তাঁদের অনেকজনকেই লাইব্রেরি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওয় শৌচাগারে অচৈতন্য পড়ুয়াদের পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। 

Advertisement

পদস্থ পুলিশ আধিকারিক চিন্ময়া বিশালকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, “হিংসার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা ব্যবস্থা নিই”।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা তুলে ধরে ওই আধিকারিক জানান, ভিড় যখন হঠানো হচ্ছিল, পুলিশ তাঁদের তাড়া করে। পড়ুয়ারা ছুটে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়েন এবং পাথর ছুঁড়তে শুরু করেন।

Advertisement

হিংসার ঘটনা নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস সহ বিরোধীরা, তাদের অভিযোগ, বিজেপির কথা শুনে চলছে দিল্লি পুলিশ, বিজেপির থেকে নির্দেশ পাচ্ছে তারা। মঙ্গলবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বামেরা।

এমএস রান্ধাওয়া জানান, রবিবারের ঘটনার তদন্ত করবে অপরাধ দমন শাখা। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার তদন্ত করবে অপরাধ দমন শাখা। বিস্তারিত তদন্ত করা হবে এবং দোষীকে খুঁজে বের করা হবে”।

Advertisement

Advertisement