Read in English
This Article is From Dec 18, 2019

‘‘পুলিশ ঢুকেই মারতে আরম্ভ করল'': পুলিশের লাঠিতে বাঁ চোখ হারানো জামিয়ার পড়ুয়া 

ওই পড়ুয়া জানাচ্ছেন, ‘‘আমরা যেখানে বসে ছিলাম, সেখানে ঢুকে পড়ে ২০ থেকে ২৫ জন পুরোপুরি সশস্ত্র পুলিশ। তারা আমাদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে পেটাতে থাকে।''

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by
নয়াদিল্লি:

দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়াতে (Jamia Milia Islamia) পড়ুয়াদের উপরে পুলিশের লাঠিচার্জের তিন দিন হয়ে গেল। গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় পাঠাগারের মধ্যে পুলিশের (Delhi Police)লাঠির আঘাতে বাঁ চোখ খোওয়ান এক ছাত্র। এলএলএম পড়ুয়া মিনহাজউদ্দিনের বয়স ২৬। তিনি জানাচ্ছেন, ওইদিন পাঠাগারের এমফিল বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন তিনি। তখনই ছাত্রছাত্রীদের উপরে আক্রমণ করে সশস্ত্র ২০-২৫ জন পুলিশ। তিনি বলেন, ‘‘ওরা ঝাঁপিয়ে পড়ল এবং সকলকে লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করল। আমাকেও মারছিল। আমার হাতে মেরে আঙুল ভেঙে দিয়েছে। আর আমার চোখেও মেরেছে। আমি পালাতে চেষ্টা করছিলাম। গিয়ে শৌচাগারে লুকিয়ে পড়ি। আর ওখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় জ্ঞান হারাই।''

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি কেন্দ্রীয় পাঠাগারে পড়াশোনা করছিলাম। এটা এমফিল বিভাগ। আমাদের বলা হয়েছিল, পুলিশ পাঠাগারে ঢুকে পড়েছে। এরপরই আমরা যেখানে বসে ছিলাম, সেখানে ঢুকে পড়ে ২০ থেকে ২৫ জন পুরোপুরি সশস্ত্র পুলিশ। হেলমেট পরে লাঠি হাতে তারা আমাদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে পেটাতে থাকে।''

নাগরিকত্ব আইনের সঙ্গে ভারতের মুসলমানদের কোনও সম্পর্ক নেই: শাহি ইমাম

Advertisement

শৌচাগারে লুটিয়ে থাকা রক্তাক্ত অচেতন মিনহাজউদ্দিনকে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর বন্ধুরা। সেখান থেকে এইমসের চ্রমা বিভাগে। তারপর রাজেন্দ্রপ্রসাদ আই ইনস্টিটিউট। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা হয়। আমি আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিলাম। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমার ডান চোখেও প্রভাব পড়তে পারে।

সোমবার প্রকাশ্যে আসা আরও একটি চমকে দেওয়া ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, জামিয়ার পড়ুয়ারা পাঠাগারের মধ্যে ছোটাছুটি করছে। সেই সময় গুলির শব্দ এবং জানলারা কাঁচ ভাঙার শব্দও পাওয়া যায়। মেঝেতে পড়েছিল কাঁদানে গ্যাসের খোল। এলোমেলো ছড়িয়েছিল বইপত্র।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট

Advertisement

এক ছাত্রী NDTV-কে জানিয়েছেন, তাঁকে জোর করে পাঠাগার থেকে টানতে টানতে বাইরে নিয়ে আসা হয় আটক করার জন্য।

রবিবার জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে পুলিশের প্রবেশ ও পড়ুয়াদের নিগ্রহ করার বিষয়টি নিয়ে দেশভর শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদ। যদিও পুলিশ এই অভিযোগ স্বীকার করেনি। এক বর্ষীয়ান পুলিশ আধিকারিক চন্ময় বিসওয়াল NDTV-কে বলেন, ‘‘আমরা দেখতে চাইছিলাম এই হিংসাত্মক কার্যকলাপ কোথায় হচ্ছে।''

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সূত্রে জানা যাচ্ছে, দিল্লি পুলিশের রিপোর্টে বলা হয়েছে পুলিশ গুলি চালায়নি। যদিও সোমবার দু'জনকে ভর্তি করা হয়েছে বুলেটবিদ্ধ অবস্থায়।

রবিবার গণ্ডগোলের সূত্রপাত হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে পড়ুয়াদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হলে। পুলিশ অবশ্য ব্যক্তিগত পরিসরে মেনে নিয়েছে সেদিন উন্মত্ত জনতার মধ্যে ছিল স্থানীয় দুর্বৃত্তরা। তারাই মিছিলে ঢুকে পড়ে মিছিলটি দখল করে নিয়েছিল।

Advertisement