हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Jan 02, 2020

হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডায় নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে পথে শাহিনবাগের 'দাদিরা'

আসমা খাতুন, বিলকিস,শর্বরী দেবীকে বলা হয়েছে পুরো নাম জানাতে, তাঁদের উত্তর: “আমরা বলতে পারব না। আমাদের কোনও নথি নেই। এটা আমাদের বিরুদ্ধে যেতে পারে”

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by
নয়াদিল্লি:

নাগরিকত্ব আইনের (Citizenship Amendment Act) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিক্ষোভের নেতৃত্বে শাহিনবাগের মহিলারা, ১৫ দিন ধরে টানা বিক্ষোভ করে ইতিমধ্যেই সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন তাঁরা, ঘরের আরাম ছেড়ে দিয়ে পথে নেমেছেন তাঁরা। দিল্লিতে এখন হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডা, তারমধ্যেই উঠে এসেছেন শাহিনবাগের ‘দাদিরা'' (Dadis' of Shaheen Bagh)। আসমা খাতুন, বিলকিস,শর্বরী দেবীকে বলা হয়েছে, তাঁদের পুরো নাম জানাতে, একটি বাক্য তিনজনেরই উত্তর: “আমরা বলতে পারব না। আমাদের কোনও নথি নেই। এটা আমাদের বিরুদ্ধে যেতে পারে”। তিনজন মহিলাই নিজেদের ঠাঁই করে নিয়েছেন বিক্ষোভের একবারে প্রথম সারিতে, আর সেখান থেকেই ওঁদের নতুন নামকরণ হয়েছে শাহিনবাগের ‘দাদি'।

ইন্ডিয়া গেটে জমায়েত শতাধিক, ভারতে নাগরিকত্ব আইন বয়কটের শপথ

তাঁরা কেন পথে নেমেছেন, সে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিন বৃদ্ধা:

Advertisement

সবচেয়ে বয়স্ক, নবতিপর আশমা খাতুন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জিজ্ঞাসা করুন কেন আমরা বিক্ষোভ করছি”, তিনি আরও বলেন, “কেন আমাদের এরকম একটা দিন দেখতে হল ? আমায় বিক্ষোভে নামতে হল? আমি নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে”।

 এই আইন প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছেন কেন., সে প্রশ্নের উত্তরে আসমা খাতুন বলেন, “তিনি আমাদের থেকে নাগরিকত্ব প্রমাণে নথি চান ? দেশে অনেক মানুষ রয়েছেন, যাঁদের কোনও নথি নেই। বন্যা ও বৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেকের নথি হারিয়ে গিয়েছে। তাঁরা তাঁদের নথি কোথা থেকে জোগাড় করবেন? আমি মোদিকে তাঁর পরিবারের ৭ প্রজন্মের নাম বলার চ্যালেঞ্জ করছি। আমি ৯ প্রজন্মের নাম বলতে পারব”। 

Advertisement

নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে পাল্টা বিক্ষোভ নিয়ে আসমা খাতুন বলেন, “তারাই করছে, যারা এর সমর্থনে আইনটি জানে না”।

দশকের সমাপ্তি জাতীয় সংগীতে! মধ্যরাতে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদকারীদের গলায় জন গণ মন

Advertisement

বিলকিস বলেন, “যেখানে আমরা বিক্ষোভ করছি, সেখানে লক্ষ করুন। শুধুমাত্র মুসলিমরাই বিক্ষোভ করছেন না। এসে দেখুন, কত মানুষ খাবার বিলি করছেন। সব ধর্মেরই মানুষ রয়েছেন। কেউ আমাদের কলা দিচ্ছেন, কেউ আবার জুস ও বিস্কুট দিচ্ছেন”।

সবচেয়ে কম বয়স্ক দাদি ৭৫ বছরের শর্বরীদেবী বলেন, “আমরা সবাই এখানে জন্মগ্রহণ করেছি, এবং আমরা এখানেই মরতে চাই। সব ধর্মের তরফেই। এই আইনটি বিভাজনমূলক। যদি কখনও এই ধরণের কোনও অভিযান হয়, তাহলে আমি নথি জমা দিতে যাব না। যাঁরা নথি দেখাতে পারবেন না, তাঁদের প্রতি এটা অন্যায়। সেইজন্য আমরা সহানুভুতি থেকে আমরা পাশে রয়েছি”।

Advertisement

এলাকার মানুষের বক্তব্য, লড়াকু মানসিকতা দিয়ে বয়সকে হার মানিয়েছেন ওঁরা। তাঁদের কথায়, “খোলা জায়গায় আমাদের খুব ঠাণ্ডা লাগছে না। আমাদের সবার সমর্থন আছে। সর্বোপরি, আমি আগামী প্রজন্মকে বলতে পারব, তাদের অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করেছি”।

CAA Protest: বিজনৌরে প্রতিবাদের সময় যুবকের মৃত্যু, পুলিশের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা

Advertisement

এই প্রথমবার দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার ব্যাপারে ধর্মকে রাখা হয়েছে। সরকারের দাবি, এই আইনের ফলে,  তিনটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশের সংখ্যালঘুরা ২০১৫  সালের আগে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে, ভারতে এলে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ সহজ হবে। সমালোচকদের দাবি, এটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিভাজনমূলক এবং সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতাকে লঙ্ঘন করে।

Advertisement