জানা গিয়েছে অভিযুক্তের নাম রামভক্ত গোপাল।
হাইলাইটস
- জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে গুলি চালানোর আগে ফেসবুক লাইভ অভিযুক্তর
- অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
- এলাকার সমস্ত যানবাহন অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে
নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার দুপুরে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jamia Milia) কাছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদসভার দিকে গুলি চালিয়েছিলেন যে ব্যক্তি (Jamia Shooter,), তিনি গুলি চালানোর কিছুক্ষণ আগেও ফেসবুকে লাইভ ছিলেন। ওই ব্যক্তির নাম রামভক্ত গোপাল। তিনি আন্দোলনের স্থানের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় সেটি ভিডিওয় তুলতে থাকেন। তাঁর পরনে ছিল কালো বম্বার জ্যাকেট। তাঁকে গোপনে এদিক ওদিক তাকাতে দেখা যাচ্ছিল। বোঝা যাচ্ছিল আক্রমণ হানার আগে লক্ষ্যস্থলকে মেপে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন ওই যুবক। গুলি চালানোর সময় শোনা যায় তিনি চিৎকার করছেন, ‘‘এই নে আজাদি।''
Jamia-র প্রতিবাদীদের লক্ষ্য করে গুলি, স্লোগান উঠল "এই নে আজাদি"
গুলিতে আহত হয়েছেন শাদাব ফারুখ নামের এক প্রতিবাদী। এরপরই তাঁকে ঘিরে ধরেন বাকিরা। আহত তরুণের বাঁ হাত দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তাঁকে দ্রুত এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়।
দ্রুতই এলাকা অশান্ত হয়ে ওঠে। কিন্তু দ্রুতই যানবাহন চলাচল অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
"এবার পোশাক দেখে চিনুন", জামিয়ার গুলি-কাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ Asaduddin Owaisi -র
সোশ্যাল মিডিয়ায় রামভক্ত গোপালের আগের পোস্টগুলি দেখলে বোঝা যায়, তিনি মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন হামলার। পাশাপাশি তিনি জানেনও এর পরিণতি কী হতে পারে। একটি পোস্টে দেখা যায় রামভক্ত গোপাল লিখেছেন, ‘‘আমার শেষ যাত্রায় আমাকে গেরুয়ায় মুড়িয়ে দিও আর স্লোগান দিও ‘জয় শ্রী রাম'।''
আরও একটি পোস্টে তাঁকে লিখতে দেখা যায় ‘‘শাহিনবাগ, গেম ওভার।'' প্রসঙ্গত, শাহিনবাগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে মহিলা ও শিশুদের দেখা গিয়েছে।
এদিনের ঘটনার অব্যবহিত পরেই রামভক্ত গোপালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জামিয়ার এক পড়ুয়া আমনা আসিফ NDTV-কে জানিয়েছেন, ‘‘আমরা ব্যারিকেডের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎই ওই বহিরাগত, যাঁকে আমরা কেউ চিনি না, এসে এলাকার শান্তিভঙ্গের চেষ্টা করে। উনি হাতে রিভলবার নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে আসেন। আমরা সবাই ওঁকে থামানোর চেষ্টা করছিলাম। পুলিশ চুপ করে দাঁড়িয়েছিল। গুলিতে আমাদের এক বন্ধু আহত হয়েছেন।''
আর এক সাক্ষীর কথায়, ওই ব্যক্তি প্রতিবাদীদের হুমকি দিয়ে বলেন, হয় রাস্তা ছাড়তে নয়তো মরতে।
এর আগে মঙ্গলবারও দুই ব্যক্তি ওখানে এসে বন্দুক তাক করে সকলকে ভয় দেখায় বলেও জানা গিয়েছে। কিন্তু আশপাশে উপস্থিত ব্যক্তিদের জন্য সেযাত্রা কোনও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেনি।