নয়াদিল্লি: গ্রেফতারি সহ কোনওরকম ব্যবস্থা নেওয়া থেকে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সুরক্ষার আর্জি খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court) । আদালতের এই সিদ্ধান্তে আইনজীবীরা বললেন, “লজ্জার”। রবিবার জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jamia Millia Islamia) হিংসার ঘটনায় বিচারবিভাগীয় কমিশনের আর্জির শুনানি ছিল আদালতে, তার প্রেক্ষিতেই কেন্দ্র, দিল্লি সরকার ও পুলিশকে নোটিশ পাঠিয়েছে আদালত। নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে, তারমধ্যেই এদিনের এই নির্দেশ আদালতের, নয়া আইনে ২০১৪-এর আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের থেকে ভারতে আসা অমুসলিমদের নাগরিক হওয়ার পথ সহজ করা হয়েছে।
রবিবার এই বিক্ষোভের আয়োজন করেন জামিয়ার পড়ুয়ারা, সেখানেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে পড়ুয়াদের। কোনও অনুমতি ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে প্রায় ১০০ জন পড়ুয়াকে আটক করে। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী ও পড়ুয়াদের টার্টে করা হয়। তারপরেই দেশজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুরু হয় বিক্ষোভ, প্রতিবাদ।
একজন আবেদনকারী, জামা মসজিদের ইমামের তরফে মামলা দায়ের করেন, তিনি বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছিলেন পড়ুয়া ও শিক্ষকরা, পুলিশ সেখানে বিঘ্ন ঘটিয়েছে এবং এটিকে “অহেতুক, অত্যাধিক, ইচ্ছাকৃত এবং ব্যাপকভাবে বলপ্রয়োগে” করেছে, এমনটাই জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।
আবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা প্রয়োজন, যাতে তারা, “নির্মাণ এবং বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে গল্প সাজানোর সময় না পায়”।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, প্রত্যেক নাগরিকেরই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার আছে, এবং এই ধরণের বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের পদক্ষেপ মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা।