বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের বহু পরিষেবা বন্ধ রাখা হয় (ফাইল)
হাইলাইটস
- Kashmir's three most prominent leaders continue to remain in detention
- The centre has not provided any definite date for their release
- Centre had scrapped Jammu and Kashmir's special status on August 5
নয়াদিল্লি: সোমবার শ্রীনগরে (Srinagar) আটক থাকা পাঁচজন রাজনৈতিক নেতার মুক্তি, জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার করার পর থেকে, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে আটক করা হয়েছিল তাঁদের, পাঁচমাস বন্দি ছিলেন তাঁরা। তবে আটক করে রাখা হয়েছে কাশ্মীরের তিনজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা, তাঁর ছেলে ওমর আবদুল্লা এবং পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি সুপ্রিমো মেহবুবা মুফতি। তাঁদের মুক্তির ব্যাপারে এখনও কোনও দিন ধার্য করেনি কেন্দ্র, তাঁদের “উপযুক্ত সময়েই” মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। পাঁচজনক প্রাক্তন বিধায়ককে বিধায়ক আবাসন থেকে ছাড়া হয়, সেখানেই বন্দি রয়েছেন, ৩০ জনেরও বেশী প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিধায়ক। মুক্তি পাওয়া নেতাদের মধ্যে রয়েছেন, ইশফাক জব্বর ও গুলান নবি ভাট (ন্যাশনাল কনফারেন্স), বশির মির (কংগ্রেস), জাহুর মির এবং ইয়াসির রেশি (পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি)।
৫ অগস্ট রাষ্ট্রপতির নির্দেশিকার মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা (Article 370) প্রত্যাহার করে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার, সাধারণ মানুষের থেকে কোনওরকম ব্যাপক প্রতিক্রিয়া এড়াতে সেখানে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি রাখা হয়। তারপরেই, রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়।
অপ্রত্যাশিত এই পদক্ষেপের আগে রাজ্যের বেশীরভাগ রাজনৈতিক নেতাকে হেফাজতে নেওয়া হয়, সরকারের বিরুদ্ধে যাতে সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত না হয়ে ওঠে বা বিদ্রোহ না হয়, তারজন্য এই পদক্ষেপ বলা হয়। জম্মু ও কাশ্মীরে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়, ১৪৫ দিন পর শুক্রবার সেরাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়।
সরকারের জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক খান NDTV কে বলেন, “এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক কারণ, এই সমস্ত নেতাকে আটক করা হয়েছে। এই আটকের কারণ পরিষ্কার। এই নেতাদের আটক করার জন্যই জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও রক্তপাত হয়নি”।