ফ্রান্সে জি৭ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের একান্ত সাক্ষাৎ হতে চলেছে সোমবার।
হাইলাইটস
- জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে কথা হতে পারে মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে
- এমাসেই জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস’ তুলে নেওয়া হয়েছে
- এখনও রাজ্যের বহু জায়গায় নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে
নয়াদিল্লি: ফ্রান্সে (France) জি৭ সম্মেলনে (G7 summit) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) একান্ত সাক্ষাৎ হতে চলেছে সোমবার। এই সাক্ষাতে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) পরিস্থিতি এবং বাণিজ্য— এই দুই বিষয়েই প্রধানত আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্প ইতিমধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা করার কথা বলেছেন এবং এই ইস্যুটিকে ‘বিস্ফোরক' বলে দাবি করেন। ৩৭০ ধারা বাতিল করাকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মনে করলেও ট্রাম্প এই রাজ্যের উপরে জারি নিষেধাজ্ঞা, বিপুল সংখ্যক রাজনীতিবিদদের গ্রেফতারি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের দাবি নিয়ে আমেরিকার হয়ে কথা বলতে পারেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
এক বর্ষীয়ান মার্কিন প্রশাসনিক আধিকারিক জানাচ্ছেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছ থেকে শুনতে চান কী ভাবে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের অংশ হিসেবে ভারতের ভূমিকা পালন করতে কাশ্মীরের আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমন ও সেখানকার মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে ভাবছেন তিনি।''
J & K Governor: 'পরিস্থিতি বুঝেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জম্মু-কাশ্মীরে': সত্যপাল
তিনি আরও বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি সমস্ত দিক নিয়েই কথা বলতে চান। তিনি আশা করেন ভারত কাশ্মীরের উপরে জারি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে এবং সেখানকার আন্দোলনকেও সংযত ভাবে প্রতিহত করবেন।''
এর পাশাপাশি ওই আধিকারিক জানান, ট্রাম্প পাকিস্তানকেও ওই অঞ্চলের জঙ্গি সংগঠনগুলি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলবেন, যারা অতীতে বারবার ভারতের উপরে হামলা চালিয়েছে।
গত সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের জন্য কাশ্মী ইস্যুতে মধ্যস্থতা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ফোন করেন ভারত ও পাকিস্তান দু'দেশের প্রধানমন্ত্রীকেই। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘‘কাশ্মীর একটি অত্যন্ত জটিল জায়গা। আপনাদের হিন্দু আছে, মুসলিমও আছে। এবং আমি বলতে পারি না তারা একসঙ্গে খুব ভাল আছে। আমি মধ্যস্থতা করলে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।''
“রাহুল ফূর্তির জন্য যদি জম্মু-কাশ্মীর যান”, সঞ্জয় রাউতের নিশানায় কংগ্রেস
তিনি আরও বলেন, ‘‘আপনাদের দুই দেশ দীর্ঘ সময় ধরেই ভাল নেই। সত্যি বলতে কী, এটা অত্যন্ত বিস্ফোরক পরিস্থিতি।''
কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্রসঙ্ঘের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু অধিকাংশ সদস্য দেশই মেনে নেয় জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে নেওয়া নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। ১৫টি দেশ— পাঁচটি স্থায়ী সদস্য ও ১০টি পরিবর্তনশীল সদস্যদের মধ্যে বৈঠক নিষ্ফলা ভাবেই শেষ হয়।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে এখনও নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় হাজার হাজার সেনা টহল দিচ্ছে। ফোন লাইন ও মোবাইল ইন্টারনেট কাজ করছে না। ল্যান্ডলাইন আংশিক ভাবে কাজ করছে।
এদিকে বাণিজ্য নিয়েও কথা হতে পারে এই বৈঠকে। আমদানি শুল্ক নিয়েই মূলত কথা হবে। মে মাসে আমেরিকা এক বাণিজ্য সম্মেলনে ভারতের উপর থেকে ‘লাভদায়ক' দেশের তকমা তুলে নেয়। ভারত একে ‘দুর্ভাগ্যজনক' বলে আখ্যা দেয়।