This Article is From Oct 09, 2019

নেতাদের আটক করায়, স্থানীয় নির্বাচন বয়কট করতে চলেছে কংগ্রেস

কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে, ২৪ অক্টোবর সেখানে নির্বাচন হবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হবে

নেতাদের আটক করায়, স্থানীয় নির্বাচন বয়কট করতে চলেছে কংগ্রেস

সরকারের তরফে বলা হয়েছে, পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে, ধাপে ধাপে সেখানকার স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানো হচ্ছে।

নয়াদিল্লি:

কাশ্মীরের বহু বর্ষীয়ান নেতাকে আটক করে রাখায়, জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সমষ্টি উন্নয়ন কাউন্সিল নির্বাচন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। ৭০ দিন ধরে আটক রয়েছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং মেহবুবা মুফতির (Mehbooba Mufti) দল পিডিপির বহু নেতা, নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরাও। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে, ২৪ অক্টোবর সেখানে নির্বাচন হবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেরাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি সিএ মিরকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, “গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করায় বিশ্বাস করে কংগ্রেস, এবং কোনও নির্বাচন থেকে দূরে সরে যায়নি”।

তিনি বলেন, “তবে আজ, উপত্যকার বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদদের আটক এবং রাজ্য সরকারের উদাসীন মনোভাবের কারণে, আমরা ব্লক ডেভলপমেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি”। 

৫ অক্টোবর কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার এএবং রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার ঘোষণার পর, যাতে কোনওরকম পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তার জন্য জম্মু ও কাশ্মীরের প্রায় ৪০০-এরও বেশী নেতাকে আটক অথবা গৃহবন্দি করে রাখা হয়। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে, ধাপে ধাপে সেখানকার স্বাভাবিক অবস্থা  ফেরানো হচ্ছে।

২৯ সেপ্টেম্বর সেখানকার সমষ্টি উন্নয়ন কাউন্সিলের নির্বাচন ঘোষণা করা হয়, জম্মুর সমস্ত আটক থাকা নেতাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের উপদেষ্টা ফারুক খান জানান, ধাপে ধাপে মুক্তি দেওয়া হবে কাশ্মীরের নেতাদেরও।

তবে জম্মু ও কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা, তাঁর ছেলে ওমর আবদুল্লা এবং পিডি নেত্রী মেহবুবা মুফতিকে কবে মুক্তি দেওয়া হবে, সে বিষয়ে কোনও শব্দ শোনা যায়নি।

রাজ্যপাল সত্যপাল প্রশাসনের বিশ্বাস, নেতারা বন্দি থাকায়, কাশ্মীর উপত্যকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ফারুক খান NDTV কে বলেন, “এই আটকের ফলাফল পরিষ্কার। অতীতের নিদর্শন লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, কোনওরকম সিদ্ধান্তের পর কাশ্মীরে রক্ত ঝড়েছে।  এবারে তা হয়নি, কারণ, নেতাদের দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে”।

 বাগবাজার সর্বজনীনের সিঁদুরখেলা, দেখুন ভিডিও:

৬১ শতাংশ পঞ্চায়েতের আসন ফাঁকা পড়ে থাকার পরেও, সমষ্টি উন্নয়ন কাউন্সিলের নির্বাচন করা অনিয়ম, তা মানতে নারাজ, ফারুক খান। তিনি বলেন, “শুধুমাত্র কয়েকটি পঞ্চায়েত আসন ফাঁকা থাকার কারণে, গ্রামোন্নয়ন বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা থেকে মানুষকে বঞ্ছিত করা যায় না”।

গত বছর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রায় ১২,০০০ পঞ্চায়েত আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। বারেবারে মূল দলগুলি নির্বাচন বয়কট করায় নির্বাচন সম্পন্ন করা যায়নি।

.